গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জগন্নাথবাবুর ব্যাখ্যা, ‘দল ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তাই বিধায়ক হিসেবে নয়, এমপি পদেই দল আমাকে চায়। তাই দলের নির্দেশ মেনে বিধায়ক পদ ছাড়তে হয়েছে।’ এদিন তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় শান্তিপুরের উপ-নির্বাচন নিশ্চিত হল। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন বিধানসভার সাধারণ বাসিন্দারা। অনেকেই বলেন, শুধুমাত্র পদের লোভে শান্তিপুরের মানুষের রায়কে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে বিজেপি। করোনা পরিস্থিতিতে আবারও ভোট হওয়া মানে, বিধানসভার বাসিন্দাদের আরও একবার বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া।
বিজেপির এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। শান্তিপুর শহর তৃণমূল সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র বলেন, শান্তিপুর বিধানসভার প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বিজেপি। মানুষকে মিথ্যা বুঝিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে শান্তিপুরের মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ নিজের স্বার্থ চরিতার্থ না হওয়ায় ‘এমপি’ পদের মোহ ছাড়তে পারলেন না নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে তিনি কেন প্রতারণা করেছেন? এর জবাবদিহি তাঁকে করতে হবে।
শহরের শ্যামচাঁদ মোড় এলাকার ব্যবসায়ী দিব্যেন্দু দাস, ফুলিয়ার মাঠপাড়ার বাসিন্দা সুশান্ত ঘোষ ও নৃসিংহপুরের টোটোচালক জীবন মাহাত বলেন, জগন্নাথবাবু এমপি পদ ছেড়ে বিধায়ক পদ নিতে রাজি নন। তাহলে কেন তিনি বিধায়ক হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন বুঝতে পারছি না। আমরা চাই, এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপি যেন কোনওভাবেই প্রার্থী না দেয়। মানুষের রায় নিয়ে এভাবে ছেলেখেলা না করলেই ভালো করত বিজেপি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, এবারের নির্বাচনের আগে পদ্ম শিবির বাংলা দখলে অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল। তাই রাজ্যের বেশ কয়েকজন এমপিকে বিধানসভার প্রার্থী করেছিল। ফলাফল প্রকাশ হতেই বিজেপি হাওয়া ও বাস্তবের ফারাক বুঝে গিয়েছে। বিজেপি বুঝেছে, লোকসভার আসনে উপনির্বাচন হলে হারবে। সেই কারণেই লোকসভায় আসন সংখ্যা কমাতে চাইছে না। এসব দেখে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিজেপি দলের অনেকে একান্তে বলছেন, এর থেকে ভোটে হেরে যাওয়াই ভালো ছিল। উপ নির্বাচনে কোনও মুখ নিয়ে ভোট চাইতে যাব?