বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শ্রমমন্ত্রকের তথ্য বলছে, নিগম এই যোজনা চালু করেছিল ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। বিমাকৃত অথচ কাজ হারানো কর্মীকে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক ও এককালীন আর্থিক সাহায্যের জন্য এই প্রকল্প নির্দিষ্ট হয়। সেই সময় ঠিক হয়, সংশ্লিষ্টকে তাঁর দেড় মাসের বেতন দেওয়া হবে। কিন্তু প্রথম বছরে এই প্রকল্পের কথা কার্যত খাতায়-কলমেই থেকে যায়। গত বছর লকডাউনের সময় রাতারাতি কর্মচ্যুত কর্মচারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই প্রকল্পের মেয়াদ দু’দফায় আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনগুলির চাপে তিন মাসের বেতন দেওয়ার কথা বলে অনুদানের অঙ্ক বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়। নিগমের বোর্ডের বৈঠকে সেই সময় আনুমানিক হিসেব করে অন্তত ৩২ লক্ষ কর্মচ্যুত শ্রমিকের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এই খাতে মাত্র এক শতাংশ টাকা খরচ করতে পেরেছে নিগম।
গত ১৮ মার্চ পর্যন্ত যে হিসেব বলছে, এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য মোট ৬৯ হাজার ৭৫৯টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৪৩ হাজার ২৯৯টি গৃহীত হয়েছে। মোট খরচ হয়েছে ৫৭
কোটি ১৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৯৮ টাকা। এর মধ্যে বাংলার ৬৯০ জন কর্মচারীর জন্য এক কোটিরও কম টাকা খরচ করেছে নিগম। রাজ্যের শ্রমদপ্তরের এক কর্তা জানান, লকডাউনে বাংলার কয়েক লক্ষ পরিযায়ী ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকের জন্য রাজ্য সরকার যেখানে প্রচেষ্টা ও স্নেহের পরশ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করেছে, সেখানে ইএসআই নিগমের ওই যোজনা পুরোপুরি ব্যর্থ। উল্লেখ্য, প্রচারের খামতি, প্রকল্পের সুবিধালাভের জন্য শর্তাবলীর জটিলতা, জাতীয় স্তরে কোনও হেল্পলাইন তৈরি না করা ইত্যাদি বিষয়গুলি এজন্য দায়ী
বলে কিছু সংগঠন ইতিমধ্যে শ্রমমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে।