বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
গত ৬মে থেকে গোটা রাজ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দীঘাগামী সমস্ত লোকাল এবং তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ। স্টাফ স্পেশাল ছাড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ। ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হতেই হোটেল মালিকরা একে একে হোটেলে ঝাঁপ ফেলতে শুরু করেন। দীঘা ডিপো থেকে কিছু এসবিএসটিসি বাস চলাচল করলেও তাতে পর্যটক নেই বললেই চলে। কিছু হোটেল বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে লাইট, ফ্যান বন্ধ রেখেই খোলা রেখেছে। পর্যটকের আশায় তাঁদের এই প্রয়াস। কিন্তু, ভাইরাস আতঙ্কে মানুষজন দীঘায় বেড়াতে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। দীঘা-ধর্মতলা রুটের বেসরকারি বাসের চালক ধীরেন্দ্রনাথ প্রামাণিক বলেন, করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিতে কেউ বেড়াতে আসার কথা ভাবতে পারছেন না। যাত্রী না থাকায় বাস চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে। মালিক ও কর্মীরা খুব সমস্যায় পড়েছি। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে পৌঁছবে কিছুই বুঝতে পারছি না।
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, বেশিরভাগ হোটেল বন্ধ। কারণ, কর্মীদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। মহামারী অবস্থায় পর্যটকরা দীঘায় আসছেন না। এখন হোটেল খোলা রাখার কোনও অর্থ নেই। তাই মালিকরা বন্ধ করে দিচ্ছেন। পর্যটনক্ষেত্র একটা বিরাট ধাক্কার মুখোমুখি হল। হাজার হাজার মানুষের রুজিরুটি পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের অবস্থা সত্যি শোচনীয়। কীভাবে এই অবস্থা থেকে রেহাই মিলবে তা জানি না। আমরা সত্যিই খুব শঙ্কিত। -ফাইল চিত্র