বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আনুষ্ঠানিকভাবে সপ্তদশ বিধানসভার প্রথম অধিবেশন হল শনিবার। মূলত অধ্যক্ষ নির্বাচন ছিল এই সংক্ষিপ্ত অধিবেশন ডাকার প্রধান উদ্দেশ্য। তবে নির্বাচনের পর এদিনই প্রথম এই সুযোগে দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের মুখোমুখি হন মমতা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের দীর্ঘ দিনের সংসদীয় ও পরিষদীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে জোড়াফুল বিধায়কদের করণীয় স্মরণ করালেন অনেকটা অভিভাবকের ঢঙে। মুখে কিছু বলার সুযোগ না থাকলেও ঘাড় নেড়ে নেত্রীর পরামর্শ সহ সতর্কবাণী মেনে চলার অঙ্গীকারও করলেন সকলে। মমতা এদিন বলেন, এবার অন্তত ৭০ জন নতুন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশার অনেকে জিতে এসেছেন। সোহম, কাঞ্চন, রাজ, জুন, অদিতিদের মতো সাংস্কৃতিক জগতের পরিচিত বেশ কিছু মুখ রয়েছেন তাঁদের মধ্যে। সকলকেই আমি বলব, বিধানসভা মন দিয়ে করতে হবে। অধিবেশন বা কমিটির বৈঠকে নিয়মিত হাজির থাকতে হবে। অংশ নিতে হবে আলোচনায়, প্রশ্নোত্তরে। বিশেষ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিলের উপর বক্তব্য রাখতে হবে। একান্তই না আসতে পারলে সেই কারণ আগাম জানাবেন। পাশাপাশি রাজ্যে নির্বাচনের পরে চলা রাজনৈতিক গোলমাল প্রসঙ্গে বিধায়কদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, এলাকায় গিয়ে শান্তি বজায় রাখার ব্যবস্থা করুন। কোথাও কোনও গোলমাল বা ফেক নিউজ ছড়ানোর খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফ আই আর করুন।
তৃতীয়বারের জন্য অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে বিমানবাবুও নেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এখানে কিছু সদস্য খুব আসেন বা কার্যক্রমে অংশ নেন। এটা ঠিক নয়। মানুষ এখানে তাদের এলাকার সমস্যাগুলি তুলে ধরার জন্য বিধায়কদের নির্বাচিত করে পাঠায়। সেই দায়িত্ব তাঁদের অবশ্য পালন করতে হবে। এই বিধানসভার একটা ঐতিহ্য, গরিমা রয়েছে। তা বজায় রাখতে হবে। সংসদীয় রীতি মেনে পরিশীলিত আচরণ করতে হবে সকলকে। নতুন সদস্যদের জন্য একটি প্রশিক্ষণমূলক কোর্স এবার চালু করা হবে। বিল সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বিধায়কদের প্রাক-চর্চা প্রয়োজন হয়। সেজন্য বিধানসভার লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন। কর্মী-আধিকারিকরা বিধায়কদের এবিষয়ে সব রকমের সাহায্য করতে তৈরি থাকবেন।