গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সপ্তদশ বিধানসভার প্রথম অধিবেশন ছিল এদিন। একদিনের সংক্ষিপ্ত অধিবেশনের মূল কার্যক্রম ছিল একটিই— অধ্যক্ষ নির্বাচন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে বিমানবাবুর এই পদে অভিষেক হওয়া ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। এদিন বিমানবাবুর নামে মোট চারটি প্রস্তাব জমা পড়ে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায়, শশী পাঁজা ও বীরবাহা হাঁসদা সেগুলির প্রস্তাবক ছিলেন। তাঁদের প্রস্তাবকে সমর্থন করেন আরও চার বিধায়ক যথাক্রমে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নির্মল ঘোষ, গুলশন মল্লিক ও শ্যামল মণ্ডল। এদিন সকাল থেকেই বিধানসভা চত্বর জুড়ে ছিল সাজ সাজ রব। ফুল ও মিষ্টির টুকরি হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের একের পর এক বিধায়ক আসতে থাকেন বিমানবাবুকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। জাতীয় সঙ্গীতের পর ১১টার সময় প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায় অধিবেশনের শুরুতেই গত দু’দিনে শপথ না নেওয়া ১৫ জন বিধায়কের মধ্যে কেউ উপস্থিত আছেন কি না, জেনে নেন। এরপর তিনি অধ্যক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তাবগুলি পড়ার সুযোগ দেন। সেই পর্ব শেষে অধ্যক্ষ হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিমানবাবুর নির্বাচিত হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। পার্থবাবুর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বিমানবাবুর এই হ্যাটট্রিকের জন্য অভিনন্দন জানান। গত ১০ বছর ধরে সংবিধান ও আইনকে হাতিয়ার করে সংসদীয় গণতন্ত্রকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার বিষয়ে বিমানবাবু নজির তৈরি করেছেন বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। জবাবি ভাষণে বিমানবাবুও মমতা সহ সব বিধায়ককে কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। ওইদিন রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হবে অধিবেশন। এদিন বিমানবাবুর স্ত্রী নন্দিতাদেবী অধ্যক্ষের গ্যালারিতে বসে গোটা পর্বটি দেখেন। তবে অধ্যক্ষ নির্বাচন পর্ব এবার ব্যতিক্রম হয়ে থাকল। কারণ, এই প্রথম অধ্যক্ষ নির্বাচনের অধিবেশন বয়কট করল কোনও প্রধান বিরোধী শিবির। ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। ফলে বিরোধীদের আসনগুলি এদিন খালিই ছিল। যদিও বিরোধী বিধায়ক হিসেবে গোটা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন আইএসএফ তথা সংযুক্ত মোর্চার নৌশাদ সিদ্দিকি। পরে তিনি ঘরে গিয়ে পুষ্পস্তবক দিয়ে প্রণাম করে আসেন বিমানবাবুকে। বিজেপি বয়কট করলেও দলের কয়েকজন বিধায়ক কিন্তু এদিন সদন চত্বরে হাজির ছিলেন নিজেদের কাজের কারণে।