কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, বিরোধী দলনেতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ কোনও বিধায়কের ঘাড়ে এই দায়িত্ব দেওয়ার তত্ত্ব। তবে সম্ভাব্য বিরোধী দলনেতার তালিকায় নাম রয়েছে দু’জন দলবদলু নেতারও। এ প্রসঙ্গে শনিবার দুপুরে দিলীপবাবু বলেন, ‘আমাকে এবং দলের সংগঠনমন্ত্রীকে দিল্লিতে আসতে বলা হয়েছে। সেইমতোই আমরা দিল্লি যাচ্ছি। নাড্ডাজির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।’ সেইমতো দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন সংগঠনমন্ত্রী অর্থাৎ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীও। তবে নির্দিষ্ট করে কোন ইস্যুতে দিল্লিতে তাঁদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে, তা এদিন দুপুরে খোলসা করেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
দলের অন্দরের খবর, বৈঠকে মূলত দুটো এজেন্ডা ছিল। এক, রাজ্যে এখন বিজেপি প্রধান বিরোধী দল। বিধানসভা বয়কট করার ডাক দিলেও নিয়মমতো বিজেপিকে বিরোধী দলনেতা স্থির করতেই হবে। দুই, রাজ্যে বিজেপির চরম বিপর্যয়। দলের রাজ্য নেতারা তো বটেই, বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার দাবি করেছেন যে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ২০০টিরও বেশি আসন পাবে। কিন্তু, বাংলায় বিজেপি তিন অঙ্কেই পৌঁছতে পারেনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যে দু’দিনের সফরে গিয়ে দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশিই এই বিষয়ে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন নাড্ডা।
অন্যদিকে, ভোটে বিপর্যয়ের জেরে যেভাবে দলীয় নেতৃত্বের একাংশ প্রকাশ্যেই দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, তাতে বিড়ম্বনায় পড়েছে বিজেপি। বিশেষত গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা তথাগত রায়ের লাগাতার ট্যুইট-বোমায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। সামগ্রিক পরিস্থিতি সামাল দিতেই নাজেহাল দশা বিজেপির।