বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১ মে ৫৬ হাজার ২৯৭টি করোনা পরীক্ষা হয়েছিল বাংলায়। সেদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৫১২। আর ১৪ হাজার ৩৭৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। সুস্থতার হার ছিল ৮৪.৮৬ শতাংশ, যা তার পরদিন থেকে টানা বেড়েছে। গত ৪ মে দৈনিক সংক্রামিত এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যার ব্যবধান ছিল মাত্র ১ হাজার ৯২। মাঝের তিনদিনে করোনা পরীক্ষা ধাপে ধাপে প্রায় দেড় হাজার বাড়ানো হয়েছিল। আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছিল মাত্র ১২৭ জন। অথচ ২ হাজারের বেশি করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ওই সময়ের মধ্যে। চার তারিখের পরের তিনদিনে অবশ্য কোভিড টেস্ট বেড়েছে প্রায় ৭ হাজার। আক্রান্ত সংখ্যা দেড় হাজারের কিছু বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আশ্চর্যজনক হল, এই তিন দিনে দৈনিক সংক্রামিত এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যার ফারাক এসে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩৬-এ।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, ‘আমরা বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখছি। যেভাবে নতুন আক্রান্ত এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যার মধ্যে ব্যবধান কমছে, সেটা একটা ইতিবাচক ব্যাপার। যখনই এই ব্যবধান বেড়ে যাবে, তখন স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। হাসপাতালে সেই সময় বেশি বেডের প্রয়োজন পড়বে। এদিক থেকে আমরা কিছুদিন যাবৎ একটু নিঃশ্বাস ফেলার সময় পাচ্ছি। তবে সবদিক থেকে সতর্ক রয়েছি।’ তবে আরেকটি দিক নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগ শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। তা হল—করোনার এই স্ট্রেইনে আর ফ্যাক্টর অনেক বেশি বলে মনে হচ্ছে। সাধারণভাবে এই ভাইরাসে একজন আক্রান্ত হলে, তাঁর থেকে এক বা দু’জন আক্রান্ত হয়ে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দু’য়ের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকেও তাঁরা লক্ষ্য রাখছেন বলে জানিয়েছেন সৌমিত্রবাবু।
স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্য বলছে, শনিবার রাত পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৯ লক্ষ ছুঁইছুঁই। তার মধ্যে ৮ লক্ষ ১৮ হাজার ১০৮ জন করোনাকে জয় করেছেন। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজারের কিছু বেশি।