বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে প্রতি বছর ২৫বৈশাখ শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহে উপাসনা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে বিশ্বকবিকে স্মরণ করা হয়। এছাড়াও রবীন্দ্রভবনে গুরুদেবের বিভিন্ন বিষয়ে চিত্র প্রদর্শনী, রবীন্দ্রভবন অথবা পুরনো ঘণ্টাতলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত, গান ও কবিতার মাধ্যমে উৎসব উদযাপন করা হয়। পাশাপাশি সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গুরুদেবকে স্মরণ করা হয়। কিন্তু গতবছর মার্চ মাস থেকে বন্ধ বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস। অনলাইনে পঠন-পাঠন হলেও দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যাম্পাস পড়ুয়া শূন্য অবস্থায় রয়েছে। যদিও গতবছর স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাধ্যমে দিনটি উদযাপিত হয়। কিন্তু এবার গত ১৭এপ্রিল থেকে ৯মে রবিবার পর্যন্ত বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবন, সদন, সেন্টার, অফিস বন্ধ করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে পানীয় জল, বিদ্যুৎ, হাসপাতাল ও স্যানিটাইজেশন প্রভৃতি জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে বলে বিশ্বভারতীর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বভারতীর অনেক কর্মী, অধ্যাপক করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, এমতাবস্থায় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা সম্ভব হবে না। তবে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী রবীন্দ্র ভবনের উদয়ন বাড়ির কবিকক্ষে কবির ব্যবহৃত চেয়ারে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও এব্যাপারে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফোন ধরেননি, এমনকী মেসেজেরও উত্তর দেননি।