পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আবহাওয়া ইতিবাচক থাকায় রাজ্যে এবার ১ কোটি ১০ লক্ষ টনের বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। হিমঘরে মজুত হয়েছে প্রায় ৭২ লক্ষ টন আলু। গতবার এটা ছিল মাত্র ৫৮ লক্ষ টন। বেশি ফলন হওয়ার জন্য নতুন আলু ওঠার পর চাষিরা স্বাভাবিকভাবে গতবারের থেকে কিছুটা কম দাম পেয়েছিলেন। তাই বহু চাষি হিমঘরে আলু রেখেছেন ভবিষ্যতে ভালো দাম পাওয়ার আশায়। ব্যবসায়ী মহলের দাবি, এবার হিমঘরে রাখা আলুর ৮০ শতাংশের বেশি চাষিদের। অধিকাংশ চাষি হিমঘরে রাখা আলুর বন্ড বিক্রি করে দেন। যিনি বন্ড কেনেন (মূলত ব্যবসায়ীরা) তাঁকে হিমঘরের ভাড়া সহ অন্যান্য খরচ দিতে হয়। হিমঘর খোলার পর ৫০ কেজি আলুর বস্তার বন্ড এখন ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে আলুর দাম মিলছে ৭-৮ টাকা। এবার মাঠ থেকে আলু বিক্রি করে চাষিরা এরকম দামই পেয়েছেন। হিমঘরে আলু রাখতে পরিবহণ, বাছাই, বস্তার জন্য চাষির আরও কিছুটা খরচও হয়েছে। ভাড়া সহ অন্যান্য সব খরচ দিয়ে হিমঘর থেকে আলু বের করার পর এখন কেজিতে দাম পড়ছে ১২-১৩ টাকার আশপাশে। শহরের খুচরো বাজারে ওই আলু এখন ১৮-১৯ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসাসয়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানান, দেশের অন্যান্য প্রধান আলু উৎপাদক রাজ্যে এবার ফলন ভালো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসম, বিহার সহ কিছু রাজ্যে আলু যায়। কিন্তু এবার ভিন রাজ্যে চাহিদা কম। কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাজারে চাহিদা অনেক কমে গিয়েছে। তাই আলুর বন্ডের দাম বাড়ছে না। এই অবস্থায় একমাত্র বিদেশে আলু রপ্তানি হলেই চাহিদা বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগে কখনও বিদেশে আলু রপ্তানি হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের এব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে সংগঠনের সভাপতি মনে করেন। তাঁরাও কলকাতায় এপিডার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পশ্চিমবঙ্গের বর্ডার চেকপোস্টগুলি দিয়ে সড়কপথে, এমনকী রেলপথেও মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশে যায়। তাহলে পশ্চিমবঙ্গের আলু কেন এভাবে পাঠানো যাবে না? সেই প্রশ্ন তাঁরা তুলছেন। তাঁরা মনে করেন, সড়কপথে নেপাল, ভুটানেও আলু পাঠানো সম্ভব।