কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সৃঞ্জয় বসু (মোহন বাগান): এবারের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিল। কিন্তু আত্মবিশ্বাস অটুট ছিল দিদির। একাধিক প্রতিবন্ধকতা সামলেছেন স্বকীয় ভঙ্গিমায়। কখনও হাল ছাড়েননি। তাঁর এই হার না মানা মনোভাবের প্রশংসা করতেই হবে। আমরাও দিদির থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আশা করি, গত দুটি টার্মের মতো এবারও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তিন প্রধানের পাশে থাকবেন। তাঁর জন্যই ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। সল্টলেক স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণে তাঁর ভূমিকা ছিল অর্থবহ। এছাড়া সন্তোষপুর স্টেডিয়ামেরও ভোল বদলে দিয়েছেন তিনি। তাই তো করোনার সময় এই স্টেডিয়াম ‘সেফ হোম’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আমার বিশ্বাস, দিদি এবার নিশ্চয়ই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ও বারাসত স্টেডিয়ামের আধুনিকীরণ করবেন। খেলাধুলার উন্নতিতে জঙ্গলমহলের দিকে তাঁর বিশেষ নজর আমরা গত দশ বছরে প্রত্যক্ষ করেছি।
দেবব্রত সরকার (ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব): দিদি চিরকালই ক্রীড়াপ্রেমী। ১৯৯১ সালে তিনি প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার পর কলকাতায় আমরাই প্রথম ওঁকে সংবর্ধিত করেছিলাম। ওই অনুষ্ঠানে পাওয়া একটি হাতঘড়ি উনি তুলে দিয়েছিলেন আমাদের গ্রাউন্ড স্টাফ শঙ্কর মালির হাতে। সেদিনই দিদির ক্রীড়াপ্রেম ও দরদি মনের পরিচয় পেয়েছিলাম। গত তিন বছর উনি শুধু তিন বড় ক্লাবের পরিকাঠামো গড়ে তোলার দিকে নজর দেননি, নিয়মিত আর্থিক অনুদান দিয়েছেন তথাকথিত ছোট ক্লাবগুলিকেও। এবার তিনি পথ দেখাবেন গোটা দেশকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কলকাতার তিন বড় ক্লাবকে নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন। প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে শহরে করা হোক অক্সিজেন প্ল্যান্ট। সঙ্কটকালে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার আর সহ্য করা যাচ্ছে না।
কামারুদ্দিন আহমেদ (মহমেডান স্পোর্টিং): মুখ্যমন্ত্রী পদে হ্যাটট্রিকের জন্য প্রথমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্তরিক অভিনন্দন। উনি দীর্ঘজীবী হোন, এই প্রার্থনাই আল্লার কাছে করি। মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব দিদির কাছে ঋণী। ওঁর জন্যই আমরা এখনও বনেদিয়ানা ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেরেছি। গ্যালারির পর ফ্লাডলাইটও বসেছে। সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে, ক্রীড়া দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় মাঠে কৃত্রিম টার্ফ বসাতে চাই। বর্ষায় ধানক্ষেতের চেহারা নেওয়া মহমেডান মাঠকে বাঁচাতে দিদি নিশ্চয়ই এগিয়ে আসবেন।