পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল আগেই। এদিন মমতা নিজমুখে জানান, রাজ্যের ১০৫টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে তৈরি হবে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। এদিন রাত পর্যন্ত ১৮-৪৪ বয়সিদের জন্য বিনামূল্যে টিকাদানের এক ভায়ালও টিকা পাঠায়নি কোম্পানিগুলি।
এদিকে রাজ্যের দু’টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব নিয়ে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এজন্য নতুন কোভিড রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভর্তি রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে চিকিৎসা চলছে। কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এজন্য এদিন বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপারের কাছেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ওয়ার্ড থেকে ২৬ ভায়াল তোসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। এদিকে রাজ্যের পরিবহণ কর্মীদের টিকাকরণের কাজ শুরু হবে। বিশেষ করে বেসরকারি কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। পরিবহণ দপ্তরের তরফে কর্মীদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকদের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে একবারে প্রাথমিক চিকিৎসায় গ্রামীণ চিকিৎসকদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্তের জন্য মমতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে গ্রামীণ চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। যদিও লোকাল বন্ধ থাকায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মস্থলে যাতায়াত করা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিকল্প বন্দোবস্ত বা রেলকর্মীদের জন্য বরাদ্দ ট্রেনে ওঠার বন্দোবস্ত করার দাবি উঠেছে।
এদিকে আগাম কিনে বাড়িতে মজুত করে রাখা এবং পাশাপাশি তুমুল চাহিদা—, এই দুইয়ের কারণে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় জরুরি কিছু কিছু ওষুধের সঙ্কট দেখা দিতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইভারমেকটিন, রেমডিসিভির, তোসিলিজুমাব, মিথাইলপ্রেডনিসোলোন, ডেক্সামিথাজোন, ডক্সিসাইক্লিন, জিঙ্ক, ভিটামিন সি, ইনহেলেশন বিউডিসোনাইল ইত্যাদি জেনেরিক নামের নির্দিষ্ট মাত্রার ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে সরকার। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৪৩১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ১১৭ জন। এদিকে কলকাতা পুরসভার ৫ নম্বর বরো কো-অর্ডিনেটর তথা ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর অপরাজিতা দাশগুপ্ত করোনো আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি ছিলেন। তাঁর দেহ রাতে নিমতলা নিয়ে গিয়ে করোনা বিধি মেনে দাহ করা হয়।