বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে দিনহাটার দু’টি ক্লাবে বিজেপির দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায়। সেই ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ ভাঙচুর হওয়া একটি ক্লাবে যান উদয়নবাবু। সেখানেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়িতে পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়েছে। পিটিয়ে তাঁর হাত ভেঙে দেয়। উদয়নবাবু যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দলের নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে তৃণমূল দিনহাটায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধের ডাক দিয়েছে।
উদয়নবাবুর উপর হামলার কথা জানাজানি হতেই বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক নেতার উপর। উত্তেজিত লোকজন তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়।
খবর পেয়ে উদয়নবাবুকে দেখতে হাসপাতালে আসেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ জেলার নেতারা। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, উদয়নবাবুর দু’হাতেই গুরুতর চোট রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে একাধিকবার ফোন করে ওঁর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন।
বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাঁচখুড়িতে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরনের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। তৃণমূল কর্মীরা মন্ত্রীর গাড়ির কাচ ভেঙে দেয়। কোনওরকমে মন্ত্রীর কনভয় এলাকা থেকে বের করে দেয় পুলিস। এই ঘটনায় তিনজন সাংবাদিকও জখম হয়েছেন।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে রাহুল সিনহা সহ বিজেপির কয়েকজন নেতা ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে পাঁচখুড়ি যান। তার আগে মন্ত্রী জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসের আমরা আইনগত, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। পরে তিনি ডেবরায় ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করেন। তিনি বলেন, এখান থেকে ফিরে জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেব।
বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন তেওয়ারি বলেন, তৃণমূল জেলাজুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পাঁচখুড়িতে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁর কনভয়ে হামলা চালিয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, এদিন বিজেপি নেতৃত্ব পরিদর্শনের নামে প্ররোচনা ছড়ানোর জন্য ওই এলাকায় গিয়েছিল। তবে, ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়।