বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। তাই শেষ তিন দফার ভোট একদিনে করার জল্পনা চলছিল। এদিনই ট্যুইটারে সেই দাবি তোলেন মমতা। যদিও এদিন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তেমন কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। কারণ, এই কাজ করতে গেলে যত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, তার আয়োজন করা সম্ভব নয়। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেও জানান, ‘শীতলকুচিতে যা পরিস্থিতি হয়েছিল, তাতে বুথ দখল হয়ে যেত। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়।’ তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাকি দফাগুলির প্রচারে জনসভার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করতে পারে কমিশন। প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলির জনসভা বাতিলের কথাও ভাবা হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ, শুক্রবার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে মতামত নেওয়া হবে।
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেও থাকবে বাড়তি সতর্কতা। ভোট দিয়ে ফেরার পর কেউ অসুস্থ বোধ করলে বা করোনার উপসর্গ দেখা দিলে, তা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে অনুরোধ করা হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটকর্মীরা সতর্ক হয়ে যান। এদিকে, রাজ্যের গত চার দফার ভোটে কোন রাজনৈতিক দল কতটা করোনা বিধি পালন করেছে, তার একটি খসড়া রিপোর্ট হাতে পেয়েছে কমিশন। দেখা গিয়েছে, রোড শো হোক বা জনসভা, টিএমসি, বিজেপি বা সংযুক্ত মোর্চার প্রায় কোনও কর্মীই মাস্ক পরছেন না। মাস্ক দেখা যাচ্ছে না বিজেপি নেতাদের মুখেও। জনসভার মাঠে কোথাও থার্মাল স্ক্যানিং হচ্ছে না। আজ সেব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সতর্ক করা হতে পারে। এদিকে, আজই আরও ১১ জন পুলিস পর্যবেক্ষক রাজ্যে আসছেন।