পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবার ভোট ঘোষণার পরই কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে যে সব ভোটার রয়েছেন, তাঁরা চাইলে বাড়ি বসেই পোস্টাল ব্যালেটে ভোট দিতে পারবেন। এছাড়াও যাঁরা বিশেষভাবে সক্ষম (শংসাপত্রে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ উল্লেখ থাকতে হবে) এবং যাঁরা ভোটের সময় করোনা আক্রান্ত থাকবেন, তাঁরাও এই সুবিধা পাবেন। তাঁদের ভোট গ্রহণের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে। পোলিং অফিসার, সহযোগী অফিসার, পুলিস প্রতিনিধিরা গিয়ে ভোট সংগ্রহ করছেন। এমনকী, পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফিও করা হচ্ছে। বারাকপুর মহকুমায় মোট ১২টি বিধানসভা রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৬ লক্ষ। তার মধ্যে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে রয়েছেন প্রায় ৫৪ হাজার ভোটার।
বারাকপুর মহকুমায় মোট ৩,৬৬৯টি বুথ রয়েছে। অর্থাৎ, গড়ে প্রতি বুথে ১৪ জনেরও বেশি ভোটার রয়েছেন, যাঁরা আশির ঊর্ধ্বে। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারের সংখ্যা প্রায় ছ’হাজার। দুই ধরনের ভোটার মিলিয়ে এই মহকুমায় প্রায় ৬০ হাজার ভোটার রয়েছেন। বুথ লেভেল অফিসাররা তাঁদের সবার বাড়িতেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানোর ফর্ম নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বেশিরভাগই সেই ফর্ম নেননি। কমিশনের দাবি, অশীতিপরদের মধ্যে যাঁরা একেবারে অথর্ব, অসুস্থ এবং শয্যাশায়ী, তাঁরা ফর্ম ফিলআপ করেছেন। তবে, শেষমেশ দেখা গিয়েছে, ৬০ হাজারের মধ্যে মাত্র ১০ হাজার ৩৯৪ জন পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। তাঁদের ভোট এখন নেওয়া হচ্ছে। অশীতিপর ও বিশেষভাবে সক্ষম মিলিয়ে বাকি ৫০ হাজার ভোটার বুথে গিয়েই ভোট দেবেন বলে মনস্থির করেছেন। এই ৫০ হাজারের মধ্যে ৯৫ শতাংশই অশীতিপর।
এ ব্যাপারে বারাকপুর মহকুমার নির্বাচনী আধিকারিক তথা মহকুমা শাসক অভ্র অধিকারী বলেন, আমাদের বিএলও’রা সবার বাড়িতেই গিয়েছিলেন। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, যাঁরা স্বেচ্ছায় বুথে গিয়ে ভোট দেবেন, তাঁদেরও স্বাগত।