গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শীতলকুচির শহিদ স্মরণ মঞ্চে চোয়াল শক্ত করে বসেছিলেন মমতা। দৃশ্যত ক্ষুব্ধ। অরাজনৈতিক ওই মঞ্চ থেকে কোনও পক্ষকে দোষারোপের রাস্তায় হাঁটেননি। সেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ধূপগুড়ি, বেরুবাড়ি, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এবং হরিণঘাটার প্রচার সভায়। বলেছেন, ‘গুলি চালিয়ে নিরীহ মানুষ মেরে কাউকে বাংলা দখল করতে দেব না। এবারের নির্বাচন বাংলাকে গুজরাত না হতে দেওয়ার লড়াই। বাংলার মান-সম্মান বাঁচানোর লড়াই। বাংলার সম্মান রক্ষায় ঢেলে ভোট দিন মা, ভাই-বোনেরা।’ পঞ্চম দফার ভোট প্রচারের শেষ দিনে শীতলকুচির শহিদ পরিবারের লোকজনের সান্নিধ্যে এসে প্রত্যয় বোধহয় আরও বাড়িয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর সে কারণেই বিজেপির পোস্টার বয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলা দখল সংক্রান্ত ‘ভবিষ্যদ্বাণী’কে কটাক্ষ করে পাল্টা হুঙ্কারও দিয়েছেন তিনি। গত সোমবার রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, চার দফার ভোটেই সেঞ্চুরি পার করেছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মমতার কটাক্ষ, ‘মোট ১৩৫টা আসনের মধ্যেই নাকি সেঞ্চুরি পার! অত সস্তা! ২৯৪টা আসনের মধ্যে আগে তো ৭০টা পার করো! তারপর বাংলা দখলের কথা ভাববে!’ সোল্লাসে সায় দিয়েছে জনতা।
গোটা দেশ তথা রাজ্যে করোনার ক্রমবর্ধমান প্রকোপ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তৃণমূল সুপ্রিমো কাঠগড়ায় তুলেছেন ভোটের জন্য রাজ্যে আসা ‘বহিরাগত’দের। তাঁর কথায়, ‘বারবার চিঠি দিয়ে জানানো হল কেন্দ্রকে। টিকা সরবরাহ করুন, খরচ আমরাই করব। গোটা রাজ্যের মানুষকে বিনা পয়সায় করোনার টিকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা (কেন্দ্র) তা দিচ্ছে না। উল্টে বিজেপি, বাইরে থেকে লোকজন প্রচারের জন্য এনে, এখানে কোভিড ছড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে।’ বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গেই জনতাকে মমতার পরামর্শ, ‘করোনা বাড়ছে, নিজেকে সুস্থ রাখুন। মাস্ক পরুন, মাঝেমধ্যেই হাত ধুয়ে নিন।’
প্রচার সভায় নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচাও দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের মতো দাড়ি রাখলেই হয় না! রবীন্দ্রনাথকে জানতে হয়।’ কয়েকজন বিজেপি নেতা এখন গেরুয়া পরা শুরু করেছেন! তাঁরা গেরুয়ার মর্মই বোঝেন না! গেরুয়া মানে স্যাক্রিফাইস।’ মমতার কটাক্ষ—‘এঁদের কাছে গেরুয়া মানে সেলফিশ! মানুষ প্রতিবাদ করলে গণতন্ত্রকে গুলি করে ঠান্ডা করে দেওয়া।’
শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে গুলিতে নিহত এক ‘শহিদে’র সন্তানের সঙ্গে মাথাভাঙায় মমতা।- নিজস্ব চিত্র