বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরই বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দাবি করেছে, কোনও প্ররোচনা ছাড়াই সরাসরি বুক-পিঠ লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতেই মৃত্যু হয়েছে চারজন ভোটারের। তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সেই খবরের লিঙ্ক পোস্ট করে ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘এই ভিডিও ফুটেজ মোদি-শাহ এবং নির্বাচন কমিশনের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে। যা আগে কখনও হয়নি। শীতলকুচিতে ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা হয়েছে। নিরীহ নাগরিকদের গুলি করে খুন করা হয়েছে। লজ্জা!’ ভিডিওটি খতিয়ে দেখছে কমিশন।
এই ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার আগেই অবশ্য দিল্লিতে সদ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নেওয়া সুশীল চন্দ্রার কাছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। তাদের প্রশ্ন, শীতলকুচির ঘটনার জন্য শিলিগুড়িতে প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে কোন যুক্তিতে গুন্ডা বলতে পারেন নরেন্দ্র মোদি? কল্যাণীর সভায় প্রধানমন্ত্রী কেন মতুয়া এবং নমঃশূদ্রর বিষয় উল্লেখ করে ভেদাভেদ করবেন? জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং আদর্শ নির্বাচন বিধিতে যেখানে জাতিভেদের উল্লেখে বাধা রয়েছে, সেখানে শান্তিপুরের মাঠে কেন রাজবংশী সমাজের প্রসঙ্গ টানলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? এটা কি আদর্শ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন নয়? বক্তৃতায় কিছু বাক্য প্রয়োগের ‘অপরাধে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে যদি ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই বা হবে না কেন? এর পক্ষে ভিডিও ফুটেজ এবং খবরের কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে কমিশনের সদর দপ্তরে এদিন তৃণমূল প্রতিনিধিদের মুখোমুখি বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীবকুমার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রা এবং পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠক শেষে তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা বজায় রাখতে ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদি। না হলে যেভাবে বখাটে আঙ্গিকে দিদি সম্বোধন করছেন, তা অন্তত প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায় না। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে কমিশনের বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে তৃণমূল। শীতলকুচির ঘটনার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গ টেনে কমিশনের নিযুক্ত এই দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন বলেই তাঁদের দাবি। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, প্রতিমা মণ্ডল এবং ডাঃ শান্তনু সেন। তাঁদের দেওয়া স্মারকলিপিতে চাঁছাছোলা ভাষায় বলা হয়েছে, বিজেপির পক্ষে অথবা বিজেপি আগে থেকে যেমন শিখিয়ে দিয়েছে, কমিশন সেরকমই আচরণ করছে।