বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এরপর চাপড়া বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে আলগলি, পাকা রাস্তা ধরে হাটখোলা। অধিকাংশ বাসিন্দার বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে সীমান্ত এলাকার মানুষ যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন তা আগের কোনও সরকারের আমলে পাননি। লকডাউনের সময় কাঁটাতারের এপার-ওপার বন্ধ থাকলেও দলের অনুগামীরা দিনের পর দিন চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবরকম প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। যা সহজে ভোলার নয়। তাই সেই সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হতে চান না। যেমন, হাটখোলা সীমান্তের ৩নম্বর গেটের ওপার থেকে ফারুক মণ্ডল বলেন, আমরা নতুন কোনও প্রলোভনে পা দিতে চাই না। এখন যে সুযোগ-সুবিধাগুলি পাচ্ছি সেগুলো যাতে সঠিকভাবে পাওয়া যায়, তার জন্যই সঠিক জায়গায় ভোটটা দেব।
চাপড়া ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে চাপড়া বিধানসভা গঠিত। এখানকার প্রায় ৬৫শতাংশ মানুষ মুসলিম সম্প্রদায়ের। বাকিটা হিন্দু সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের। স্থানীয়দের দাবি, দু’-একটি এলাকা বাদ দিয়ে সবাই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। ২০১১সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাপড়ায় প্রার্থী করে পাঠিয়েছিলেন রুকবানুর রহমানকে। প্রাথমিক আপত্তি কাটিয়ে দলের প্রায় সর্বস্তরের নেতা-কর্মী লড়াই করে তাঁকে সিপিএমের বিরুদ্ধে জিতিয়ে আনেন। গত বিধানসভা নির্বাচনেও তাই। গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক আরও বেড়েছে। প্রায় ৫০হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এখন সেটাইকেই ধরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল প্রার্থী রুকবানুর রহমান বলেন, ভোটপ্রচারে বেরিয়ে মানুষের যে ভালোবাসা পাচ্ছি তাতে আমাদের জয় নিশ্চিত। চাপড়াবাসীর মুখে একটাই শব্দ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু লোক বিজেপির দালালি করার জন্য ভোট কাটতে চাইছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। তাদের দালালি মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। বিজেপির নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন অধিকারী বলেন, মানুষ এখন অনেক বেশি বিবেচক। রাজ্যে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। সেই হওয়ায় তাল মিলিয়ে বহু সংখ্যালঘু মানুষও আমাদের সঙ্গে আছেন। কারণ তাঁরা বুঝে গিয়েছেন রাজ্যে পরিবর্তন হলে তাঁরাও সেই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। শুধু চাপড়া নয়, গোটা রাজ্যে একই অবস্থা। চাপড়ায় বিজেপি প্রার্থী কল্যাণকুমার নন্দীর জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।