কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
আক্রান্ত যত বাড়ছে, বেডের চাহিদাও ঊর্ধ্বমুখী। প্রথম চেষ্টাতেই শয্যা না পাওয়ায় গত বছরের প্রথমার্ধের মতো করোনা রোগীদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চরকিপাকের ঘটনা শুরু হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলি জরুরিভিত্তিতে শয্যা বাড়ানো চলছে। আগামী এক সপ্তাহে প্রাইভেট হাসপাতালগুলি প্রায় এক হাজার শয্যা বাড়াচ্ছে বলে শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বুধবার প্রবীণ কবি ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ শঙ্খ ঘোষের কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে।
একদিকে যখন এই পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় সরকারে টিকা কম কম করে পাঠানোয় রাজ্যে ভ্যাকসিন সঙ্কট অব্যাহত। তাই বুধবারও রাজ্যজুড়ে ব্যাহত হল টিকাদান কর্মসূচি। দুই ২৪ পরগনা সহ বহু জেলায় অজস্র সরকারি হাসপাতালে এদিন টিকাকরণই হয়নি। যেসব জায়গায় হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজের টিকাদানেই প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। আজও একই পরিস্থিতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কলকাতা কর্পোরেশনের ১২০টির মধ্যে ১১৭টি টিকাদান কেন্দ্রে এদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও টিকা কম থাকায় কেন্দ্রপিছু কমবেশি ১০০ করে টিকা দেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগেও একলপ্তে ২০-২৫ লক্ষ টিকা পাঠাত কেন্দ্র। দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় গত এক সপ্তাহে টিকা আসছে অত্যন্ত কম। বুধবার তিন লক্ষ কোভ্যাকসিন ও দুই লক্ষ কোভিশিল্ড আসে। স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য, এই পরিমাণ টিকাও বড়জোর দেড়-দু’দিনেই নিঃশেষিত হতে পারে। অবস্থা বেগতিক দেখে আজ বৃহস্পতিবার রাজ্যের বহু সরকারি কেন্দ্রে টিকাকরণ বন্ধ থাকছে। স্বাস্থ্যভবন থেকে সেইরকম নির্দেশ গিয়েছে বিভিন্ন টিকাপ্রদান কেন্দ্রগুলিতেও। শহরের একটি নামকরা প্রাইভেট হাসপাতাল জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ও ১৮ এপ্রিল রবিবার স্বাস্থ্যভবন টিকাদান বন্ধ রাখতে বলেছে। ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ কলকাতায় ভোট বলে নিয়মানুযায়ী ২৫, ২৬, ২৭ এবং ২৯ এপ্রিল উত্তর কলকাতায় ভোট বলে ২৮, ২৯ এবং ৩০ টিকাদান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, জেলাগুলিকে স্টক-এর অবস্থা দেখে টিকা দিতে বলা হয়েছে। তবে আজ টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে, একথা সরকারিভাবে কোনও কর্তাই স্বীকার করেননি। তাঁরা ঘুরিয়ে জানান, আজ ১ বৈশাখ। আউটডোর বন্ধ থাকবে। ছুটির মেজাজ। তার মধ্যেও যেসব কেন্দ্র টিকা দিতে চাইবে, দেবে। ১৮ তারিখ টিকাদান বন্ধ থাকবে কি না সে-প্রসঙ্গে কর্তারা জানান, এক-দু’দিন টিকদান কেন্দ্রগুলিকে জীবাণুমুক্তও তো করতে হবে। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এদিন ৯০ হাজারের কিছু বেশি টিকাদান হয়েছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, পর্যাপ্ত টিকা হাতে না আসা পর্যন্ত টিকাদান কিছুটা ধীরে চলো নীতি নিতেই বাধ্য হয়েছে দপ্তর।