নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: বুধবার ছিল পঞ্চম দফা নির্বাচনের শেষ প্রচার। এদিন কামারহাটিতে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে ঝড় তুললেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থীকে নিয়ে তাঁর রোড শো’য়ে জনস্রোত বইয়ে গিয়েছে। রোড শো শেষে বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি, জনগণের কাছে প্রশ্নও রেখে গিয়েছেন। তিনি শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ওরা মুখে বলছে, সোনার বাংলা গড়ব। তার নিদর্শন কী? পাঁচজন বাঙালিকে খুন করল! যারা বাঙালির রক্তের বিনিময়ে বাংলা দখল করতে চায়, তাদের হাতে বাংলা ছেড়ে দেবেন? যারা বাঙালির রক্তের বিনিময়ে নিজেদের লালসা পূরণ করতে চায়, তাদের ক্ষমা করবেন? আগামী পাঁচ বছর দিল্লির রিমোট কন্ট্রোল সরকার চান? নাকি বাংলার মেয়ের উন্নয়ন, বাংলা কৃষ্টি ও সংস্কৃতি? তিনি বলেন, এই নির্বাচন ক্ষমতা দখলের লড়াই নয়, এটা বাংলার আত্মমর্যাদা, আত্মসম্মান রক্ষার লড়াই।
এদিন বেলঘরিয়ায় দেওয়ানপাড়া মাঠ থেকে রোড শো শুরু হয়। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী মদন মিত্র। হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। সামনে ও পিছনে চারিদিকে শুধু কালো মাথার মহামিছিল। তাঁকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে সমস্ত বাড়ির ছাদ, আবাসন, দোকান থেকে শত শত মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। নীলগঞ্জ রোড ধরে দেশপ্রিয়নগরে ছ’মাথার মোড়ে এসে রোড শো শেষ হয়। সেখানেই বক্তব্য রাখেন তিনি। বলেন, অসমে ১২ লক্ষ বাঙালিকে এনআরসিতে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন শেষ হতেই ডিটেনশন ক্যাম্পের নোটিস দিতে শুরু করে দিয়েছে। ভাবুন একবার। এখন করোনা ঊর্ধ্বমুখী। অথচ, আমাদের দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে মাত্র এক কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে মোদি নাম কুড়ানোর জন্য বাইরের দেশে ১০ কোটি ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। আমরা জয় বাংলা বললে, ওরা বলছে বাংলাদেশের স্লোগান। অথচ, মোদি কিছুদিন আগে বাংলাদেশে গিয়ে বললেন, ‘জয় বাংলা’। তাই ওঁদের দেখলেই বলুন—জয় বাংলা।
তিনি বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার মানে জানেন? আরামে চুরি করা যাবে। দিল্লিতেও চুরি করা যাবে, এখানেও চুরি করা যাবে। কোনও চোর ধরা পড়বে না। গুজরাতে কোনও চোর ধরা পড়ে না। অসমে, মধ্যমপ্রদেশে সিবিআই, ইডি’র কোনও রেইড হয় না। আগে চোর চুরি করলে জেলে যেত। এখন চোররা চুরি করে বিজেপিতে যায়।