গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পানিহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্মলবাবু ১৯৯৬ সালে প্রথমবার বিধায়ক হন। তখন তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার পর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘাসফুলের শিবিরে আসেন। তারপর ২০০১ সালে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বার বিধায়ক হন। ২০০৬ সালের ভোটে তিনি পরাজিত হলেও জয়ের ধ্বজা হাতে বিধানসভায় ফিরে আসেন ২০১১ সালে। ২০১৬ সালেও গত নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি। নির্মলবাবু উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম প্রবীণ তৃণমূল নেতা। বিদায়ী বিধানসভায় তিনি ছিলেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক। বয়স বাড়লেও নির্মলবাবু মানসিকভাবে এখনও তরুণ। কোনও ক্লান্তি নেই। দিনরাত প্রচার করছেন। মানুষের কাছে যাচ্ছেন, পঞ্চমবারের জন্য তাঁকে যেন আশীর্বাদ করেন তাঁরা।
চারবারের বিধায়ক বলেন, মানুষের পাশে এত বছর ধরে আছি। তাঁরা আমাকে ভরসা পান। তাছাড়া, পানিহাটির মানুষের জন্য প্রচুর উন্নয়ন করেছি। রাস্তা, নিকাশি, আলো, পানীয় জল সহ নাগরিক পরিষেবা— উন্নয়নের শেষ নেই। তিনি বলেন, তৃণমূল সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকে। আর ভোট এলেই দেখা মেলে কংগ্রেস ও বিজেপি’র। পানিহাটির উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি নিশ্চিত এখানকার মানুষ আমাকেই আশীর্বাদ করবেন। প্রসঙ্গত, পানিহাটিতে প্রচারে এসে উন্নয়নের প্রশ্নে এই কেন্দ্রকে ‘মডেল’ করার কথা বলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৬ সালে এই পানিহাটিতে যিনি বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়েছিলেন, সেই সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বিজেপি প্রার্থী। তিনি দিনরাত এক করে প্রচার চালাচ্ছেন। তৃণমূলের দাবি, দলবদলুকে পানিহাটির মানুষ বিশ্বাস করবে না। দিন কয়েক আগে নির্মলবাবুর সমর্থনে রোড শো’য়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি’র নাম না করে বলেছিলেন, ‘কেউ কেউ চৈত্র সেলের মতো নিজের আদর্শকে বিক্রি করে দিচ্ছেন। ইউটিউবের নেতাকে ইউটিউবেই থাকতে দিন। নির্মলদাকে ভোট দিয়ে বিধানসভায় পাঠিয়ে দিন।’ সন্ময়বাবুর জয়ের ব্যাপারে বিজেপি’র কলকাতা উত্তর শহরতলির সভাপতি কিশোর কর বলেন, পানিহাটিতে আমরা মানুষের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। পানিহাটিতে পরিবর্তন দরকার। মানুষ আমাদের প্রার্থীকেই সমর্থন করবেন।
সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে এবার পানিহাটিতে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন তাপস মজুমদার। তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের (শহর) সভাপতিও বটে। জেলার পুরনো কংগ্রেস নেতা। পরিচিত মুখ। তিনিও দিনরাত পড়ে রয়েছেন পানিহাটিতে। জয়ের ব্যাপারে তিনিও আশাবাদী। তাপসবাবু বলেন, তৃণমূল পানিহাটিতে সেভাবে কোনও উন্নয়ন করেনি। এখনও অনেক সমস্যা আছে। আরও অনেক উন্নয়ন হতে পারত। আর বিজেপি’র যিনি প্রার্থী হয়েছেন, তিনি তো কংগ্রেসেই ছিলেন। পানিহাটির মানুষের সঙ্গে তিনি ‘বেইমানি’ করেছেন। তাই তৃণমূল কংগ্রস কিংবা বিজেপি নয়, পানিহাটির মানুষ উন্নয়নের জন্য আমাকে ভোট দিয়ে কংগ্রেসের হাতকে শক্ত করবেন। আমিই জয়ী হব।