কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কুমুদবাবু বলেন, অসমে না গেলে বুঝতে পারতাম না, সিএএ, এনআরসি কী জিনিস! সেখানকার মানুষ ভয়ে মরছে। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য যে কাগজই নিয়ে যাচ্ছে, তা বাতিল। এখানে শরণার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দেবে বলছে। টাকার লোভে যারা নিজেদের শরণার্থী দাবি করবে, তারাই ফাঁদে পা দেবে। সিএএ ঠিক ইঁদুরের কলের মতো। খাবারের লোভে একবার ঢুকলে আর বেরতে পারবে না। এটা বোঝার পরই ঠিক করি, অনেক হয়েছে, বিজেপি আর নয়। মাস খানেক আগে প্রীতিলতা কলেজে মতুয়াদের সম্মেলন করেছিলাম। আড়াইশোটি দলের দলপতিদের কাছে অসমের অভিজ্ঞতা বলেছিলাম। সব শুনে তাঁরাও সিএএ-এর বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নেন। আমি বহু বছরের বিজেপি কর্মী হয়েও বলছি, এবারের ভোটে সিএএ বিজেপির জন্য ব্যুমেরাং হবে।
রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের একটি অডিও ক্লিপিংস ভাইরাল হয়েছে। তাতে অসীমবাবু বলছেন, ‘আমার প্রচুর পরিচিত আছে। প্রচুর মানুষ আমাকে চেনে। ও একেবারে মদখোর, গাঁজাখোর... মদ, গাঁজা ছাড়া বাঁচতে পারে না। বুঝতে পেরেচু?’ যাঁর নাম করে এই কথাগুলি অসীমবাবু বলেছিলেন তিনি বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। দলের সাংসদ সম্পর্কে অসীমবাবুর এহেন উক্তি নিয়ে শুধু মতুয়া সমাজে নয়, বিজেপির মধ্যে ব্যাপক জলঘোলা হচ্ছে। শান্তনুবাবু ফোন না ধরায় এব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
অসীমবাবু বলেন, ‘আমাকে দিয়ে এসব কথা বলানো হয়েছিল। আমার স্ত্রী স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তাঁকে করিমপুরে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় আমি এসব কথা বলতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
ভোটের মুখে অসীমবাবুর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তাঁর ভাই শক্তি সরকার বলেন, আমি কীর্তনগান নিয়েই থাকতাম। কিন্তু, দাদার দ্বিচারিতা আর বিজেপির সিএএ নিয়ে মিথ্যাচার মেনে নিতে পারিনি। প্রতিবাদ জানানোর জন্যই রাজনীতিতে নেমেছি। মানুষকে সত্যিটা জানানো দরকার। তবে অসীমবাবুর পাল্টা অভিযোগ, ‘তৃণমূল টাকা দিয়েছে। ভাইকে দিয়ে মিথ্যে কথা বলাচ্ছে।’ ঘটনা যাই হোক না কেন সত্যিটা হল, বিতর্ক অসীমবাবুর পিছু ছাড়ছে না।
দত্তফুলিয়ার বড়বড়িয়া কলোনির সুধাংশু গোঁসাই মতুয়া ধর্মপ্রচারক। ৩৫ বছর ধরে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে যুক্ত। মতুয়া ভোট কোনদিকে? সুধাংশু গোঁসাইয়ের উত্তর, প্রথমে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু অসমের ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে। মানুষ বুঝেছে, সিএএ আসলে ‘ফাঁদ’। এবারের ভোটে তার জবাব দেবে মতুয়া সমাজ। (চলবে)