কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা আসনে এবার মোট আট দফায় নির্বাচন হচ্ছে। যার মধ্যে চার দফার ভোট ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি যে চার দফার নির্বাচন রয়েছে বাংলায়, সেখানে কলকাতা ও তার সংলগ্ন জেলাগুলিরও একটি বড় অংশে ভোট রয়েছে। কলকাতা এবং তাকে কেন্দ্র করে মোট ১০৯টি বিধানসভা আসনে তাঁদের লড়াই যে তুলনামূলকভাবে কঠিন, তা ঘনিষ্ঠমহলে আগেই স্বীকার করেছেন বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা। তা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে রণকৌশল। এবং সেইমতোই সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন স্থানে বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। এমনকী রাজ্যে প্রচারে এসে এভাবেই কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। অমিত শাহ ইতিমধ্যেই এরকম গোটাকয়েক কর্মী সম্মেলন করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
কলকাতা শহর ও শহরতলির দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে মূলত কী কী বার্তা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? বিজেপির অন্দরের খবর, কর্মীদের বলা হচ্ছে যে, ১. যত বেশি সম্ভব ভোটদানের ব্যবস্থা করতে হবে, ২. সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সমস্ত ভোটার যাতে নির্বাচনের দিন বুথে পৌঁছতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করতে হবে, ৩. কোনও পরিস্থিতিতেই বিজেপি কর্মীদের দলীয় ক্যাম্প অফিস ছেড়ে যাওয়া চলবে না, ৪. যেখানে ভোট গ্রহণ চলছে, তার সামনেও থাকতে হবে।
সূত্রের খবর, বাকি যে চার দফার নির্বাচন রয়েছে বাংলায় তার মধ্যে কলকাতা ও তার আশপাশের যেসব আসনে ভোট রয়েছে, সেগুলিকে তুলনায় শক্ত চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিজেপি। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পানিহাটি, কামারহাটি, বরানগর, দমদম, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, বিধাননগর, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ, চৌরঙ্গি, এন্টালি, জোড়াসাঁকো, মানিকতলা, কাশীপুর-বেলগাছিয়া, ভবানীপুর, হাবড়া প্রভৃতি। মূলত এইসব কেন্দ্রের কথা মাথায় রেখেই আপাতত পরবর্তী ঘুঁটি সাজাতে মরিয়া হয়েছেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা।