কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত বছর শ্রীনগরের কুখ্যাত এই জেলের বন্দিদের দিয়ে কিছু করানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন ডিরেক্টর জেনারেল (জেল) ভি কে সিং। তিনি খুঁজে পান বেকারির কাজ জানা ২১ বছরের এক বন্দিকে। এরপর অন্য বন্দিদের বেকারি সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করা হয়। বেকারি সামগ্রী তৈরির জন্য জিনিসপত্রের জোগান দিতে শুরু করে জেল কর্তৃপক্ষ। ওই তরুণ বন্দির কথায়, ‘গত ২১ মাস ধরে আমি এখানে রয়েছি। আমরা এখন বেকারি সামগ্রী তৈরিতে বিশেষজ্ঞ। আরও অনেক স্বেচ্ছাসেবক আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি আরও বন্দিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এটি একটি নিরলস প্রক্রিয়া।’ জেল চত্বরে থাকা এই দোকান ও বেকারি সামগ্রী তৈরির ইউনিটটি পুরোপুরি ঘেরাটোপে রয়েছে। প্রতিদিনই এখানে পাওয়া যায় রুটি, কেক, বিস্কুট সহ অন্যান্য জিনিস। ওই বন্দির কথায়, এসবই তৈরি হয়ে থাকে চাহিদার কথা ভেবে। সামান্য হলেও নেওয়া হয় অগ্রিম বুকিং। জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে যায়। তবে এখনই বন্দিদের তৈরি এসব বেকারি সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রির অনুমতি দেয়নি জেল কর্তৃপক্ষ। ডিএসপি মালিক মনসুর বলেন, ‘বেকারি সামগ্রী বিক্রি করে যা লাভ থাকে তার ৭০ শতাংশ পান একাজের যুক্ত বন্দিরা। বাকি ৩০ শতাংশ যায় সরকারের কোষাগারে।’