গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
১৯৯০সালের রানাঘাট পুরসভার নির্বাচনের সময় প্রথমবার কাউন্সিলার হিসেবে জয়ী হন পার্থসারথি। এরপর তিনি ১৯৯৫-’২০ সাল পর্যন্ত টানা ২৫বছর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজ্যের পালাবদলের আগেই তৃণমূলে যোগদান করেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। অন্যদিকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পরপর দু’বার এই কেন্দ্রে (তখন কেন্দ্রটি রানাঘাট পশ্চিম ছিল) কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন শঙ্করবাবু। এরপর ২০১১সালে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন পার্থসারথি। গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু সেইসময় জোটের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর সিংহের কাছে সাড়ে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে পরাজিত হন পার্থসারথি। যদিও ২০১৭সালে জুন মাসে শঙ্করবাবু তৃণমূলে যোগ দেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, রাজনৈতিক জীবনে পার্থসারথি, শঙ্করের শিষ্য হিসেবেই পরিচিত। গত বিধানসভা নির্বাচনে তাই গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ে শিষ্যকে পরাজিত হতে হয়েছে। সম্প্রতি তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী বলেন, রাজনৈতিকভাবে লড়াই হবে। তবে মানুষ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এবার বিজেপিকে ভোট দেবে। জয়ের ব্যাপারে আমি ২০০শতাংশ আশাবাদী। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ভোটদানের মাধ্যমেই মানুষ উত্তর দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, এবার তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করতে মানুষ আমাদেরই পাশে থাকবেন। ভোটের ফলাফলে আবার প্রমাণিত হবে।
গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রায় ৪০হাজার ভোটে গেরুয়া শিবিরের কাছে পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। এরপরই নদীয়া জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব পান মহুয়া মৈত্র। তারপর নতুন করে তিনি দলীয় সংগঠন ঢেলে সাজার কাজ শুরু করেন। তখন থেকেই ক্রমশ দলে পার্থসারথির গুরুত্ব কমে আসছিল। যে কারণে জেলা নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের ক্রমশই কোণঠাসা হচ্ছিলেন রানাঘাটের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। যে কারণে তিনি নিজের ঘনিষ্ঠ মহলের কাছে, শহরের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলারকে নিয়ে বিজেপিতে যাওয়ার
পক্ষে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর
এই মনোভাব শাসকদলের কাছে তাঁর দলত্যাগের বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছিল। দলবদলের আগেই তাঁকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।
তবে বিগত দিনে তৃণমূল সরকারের হাত ধরে এই কেন্দ্রের বিভিন্ন গ্রাম ও পুরসভা এলাকায় একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। সেই কাজে প্রাক্তন চেয়ারম্যানও শামিল হয়েছিলেন। তাই একদিকে রাজ্যের উন্নয়ন বনাম দলবদলু চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি। অন্যদিকে দীর্ঘদিনের বর্ষীয়ান ডানপন্থী নেতা বনাম সদ্য হয়ে ওঠা বিজেপি নেতা। কোনদিকে সাধারণ মানুষের রায় যায় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২মে পর্যন্ত।