রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বাজার থেকে গ্রামের দিকে কিছুটা এগলেই কনিয়ার ১ নং পঞ্চায়েত অফিস। ওই অফিসের সামনে বসে কাজ করছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। পরিতোষবাবু সটান চলে যান সেখানে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বলেন, দাদা আমরা আপনাদেরই লোক। চিন্তার কিছু নেই। পাশেই এক চিকিৎসকের চেম্বার। এরপর সেখানে ঢুকে পড়েন প্রার্থী। রাস্তার পাশে সেই সময় দাঁড়িয়ে তাপসি, স্নিগ্ধা, পারমিতা, সুজাতারা। প্রত্যেকের হাতেই ছিল নীল সাইকেল। বোঝাই যাচ্ছে সবুজসাথীর সুবিধা পেয়েছে এই পড়ুয়ারা। প্রার্থী এই পড়ুয়ার দলকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা কন্যাশ্রী পেয়েছ? সকলেই বলে উঠল, পেয়েছি। প্রার্থী তাদের বলেন, দিদির জন্য এত কিছু পেয়েছ, বাড়ির লোকজনকে বল ভোটটা জোড়াফুলে দিতে।
প্রার্থীর সঙ্গে ভোট প্রচারে এসেছিলেন স্থানীয় ধুলুনি গ্রামের খগেন বালা। পেশায় আইসক্রিম বিক্রেতা। তাঁর কথায়, একদিন কাজে না গেলে তাঁর আর্থিক লোকসান হবে ঠিকই, তবে বিজেপিকে আটকাতে না পারলে ব্যবসাটাই তো চৌপাট হয়ে যাবে। তাছাড়া বিজেপি যদি এনআরসি চালু করে, তাহলে সারা জীবন কেঁদেও কুল পাব না। একমাত্র দিদিই পারেন এনআরসি রুখতে। তাই তো দিদির জন্য ছুটে এসেছি পরিতোষবাবুর প্রচারে। আইসক্রিম বিক্রেতার বক্তব্য, এখন যদি আমার কাছে ১৯৭০ সালের কাগজ চায়, আমি কোথা থেকে দেব? এখনও সময় আছে, দিদিই পারেন এসব বন্ধ করতে। পরিতোষবাবু বলেন, বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে দলবদলু বিশ্বজিৎ দাসকে। তিনি এক সময়ে তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রে। বিজেপি এখানে ভোট পাবে না। বাগদার মানুষ বহিরাগত প্রার্থী চাইছে না। পরিতোষবাবুর কাছে এখন জয়ের ব্যবধান বাড়ানোই লক্ষ্য, বলছিলেন তিনি।