গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এবারের ভোটের আগে মানুষকে বিশেষ কোনও বার্তা দিচ্ছি না। কারণ, সারা বছর সব সময় আমি মানুষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করি। মানুষ উন্নত রাস্তাঘাট, হাইমাস্ট আলোর ব্যবস্থা, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। শান্তিপুরবাসী পানীয় জল প্রকল্প, উন্নত আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম, নদী পারাপারে জেটি পরিষেবা পেয়েছে। এছাড়াও শহরের দীর্ঘদিনের নিকাশি সমস্যা থেকেও রেহাই মিলতে চলেছে। নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যে ২৫ কোটি ২৪ লক্ষ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ভোট মিটলেই ওই কাজ শুরু হবে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিসর্জন ঘাট, গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে সৌন্দর্যায়ন, জাতীয় সড়কের পাশে বাস স্টপেজে যাত্রী প্রতীক্ষালয় হয়েছে। শহরে বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে, তার উপর পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ নির্ভরশীল।
লকডাউনের সময় আমাদের তৃণমূল পরিবার দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেছে। দলের ছাত্র-যুবরাও বছরের বিভিন্ন সময়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক কাজে লিপ্ত থেকেছে। সর্বস্তরের মানুষকে নিয়েই আমরা চলতে চাই। তবে শান্তিপুরের শান্তি বজায় রাখা ক্ষেত্রে আমি বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি। পাশাপাশি শান্তিপুরের ধারাবাহিক উন্নয়ন যাতে হয়, সেই উন্নয়নের কাজে যাতে গতি থাকে সে বিষয়েও নজর রাখছি। প্রতিপক্ষ হিসেবে অবশ্যই বিজেপির নাম বলব। তবে আমি কখনই মনে করি না, এই লড়াই কোনও কঠিন লড়াই। কারণ বিজেপির রাজনৈতিক যে অবস্থান, তাদের যে নীতি, সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে রায় দেবে। জনবিরোধী নীতির মধ্য দিয়ে বিজেপি গোটা দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় সম্পত্তি ওরা বিক্রি করে দিচ্ছে। জাতপাতের নামে বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে। এটা বাংলার মানুষ কখনওই বরদাস্ত করবে না। তাই বিজেপিকে মানুষ আমল দেবে না।
শান্তিপুরে ভাগীরথীর ভাঙন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ। কেন্দ্রের সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছেও আমরা বারংবার দাবি জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলায় নদীর সংস্কারের কাজে গতি আসছে না। সেই জায়গায় দাড়িয়ে রাজ্য সরকার সাধ্যমতো ভাঙনরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ মতো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে গিয়ে ‘ডোর টু ডোর’ নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছি। তাছাড়াও পদযাত্রা করা, বড় মিটিং মিছিলের তুলনায় ছোট ছোট গ্রুপ করে মিটিংয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রাক্তন বিধায়ক দু’বার দলবদল করেছেন। বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করেছেন। সুতরাং মানুষ এর জবাব দেবে। মানুষই শেষ কথা বলবে।