বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন বিকেলে মমতা চলে আসেন শিলিগুড়িতে। তিনি মৃতদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করতেই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। রাতে আচমকা কোচবিহারে যাবতীয় রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের প্রবেশের উপর ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মমতাকে রুখতেই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি তৃণমূল শিবিরের। তবে শীতলকুচির ঘটনায় উত্তরবঙ্গজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে পিছু হটছে না তারা। সেখানে মূলত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও কোচবিহার জেলা পুলিস সুপারের পদত্যাগের দাবি তোলা হবে।
এদিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে এই তিন জনের অপসারণের দাবি তোলেন মুখ্যমন্ত্রীও। পাশাপাশি শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলিতে চারজন ভোটারের মৃত্যুর সত্য উদ্ঘাটনে পরবর্তীতে সিআইডি তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজেপি পরিকল্পিতভাবে এসব করছে। কিন্তু তিনি ঠুঁটো জগন্নাথ নন। সেইসঙ্গে মমতা এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, গুলির বদলা গুলি নয়। বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে সবাই তৃণমূলকে ভোট দিন। তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিবেক দুবেকে নিয়েও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অশোক চক্রবর্তীকে সরিয়ে দিয়েছে। কেননা তিনি দু’মাস হল অবসর নিয়েছেন। এখানেই আমার প্রশ্ন, তাহলে বিবেক দুবে তো আগেই রিটায়ার করেছেন। রিটায়ার্ড পার্সনদের নিয়ে তাহলে নির্বাচন কমিশন কী করে চলছে? আর গোটা ঘটনার পর কোচবিহারের এসপি যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে তিনি বিজেপির সমর্থক।’