বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চতুর্থ দফায় ৪৪টি কেন্দ্র ভোট পড়েছে ৭৬.১৬ শতাংশ। এরই মধ্যে শীতলকুচির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতেই দুটি কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, হিংসাদীর্ণ কোচবিহারে আগামী তিনদিন যেতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী। পাশাপাশি পঞ্চম দফার ভোটের প্রচারও ৭২ ঘণ্টা আগেই শেষ হবে। এতদিন প্রচার শেষ হতো ৪৮ ঘণ্টা আগে। তৃণমূলের মুখপাত্র সৌগত রায়ের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতেই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে দিয়ে কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট চেহারাই বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছে।
এদিকে, শীতলকুচির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন বেলা বাড়তেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ক্ষিপ্ত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণবঙ্গের প্রচার শেষ করে এদিনই শিলিগুড়ি উড়ে যান। আজ, রবিবার শীতলকুচির অকুস্থলে যাবেন বলে ঘোষণাও করেছেন তিনি। কমিশনের নির্দেশের পর তৃণমূল নেত্রীর অবস্থান ঠিক কী হবে, তা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছে। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা ও রাজগঞ্জে প্রচারসভা করবেন নেত্রী। অন্যদিকে, শিলিগুড়ির সভা থেকে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনার জন্য ‘দিদির উসকানি’কে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপও তিনি চেয়েছেন। চতুর্থ দফার ভোটে প্রাণহানির দ্বিতীয় ঘটনাটিও ঘটেছে শীতলকুচিতেই। স্থানীয় লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঠানটুলির ২৮৫ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে আনন্দ বর্মন নামে ১৮ বছর বয়সি এক নতুন ভোটারের। বিজেপি’র দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গুলি চালিয়েছে। জোড়াফুল শিবির অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে শীতলকুচির ঘটনা বাদে রাজ্যের বাকি ৩০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পর্ব ‘শান্তিপূর্ণ’ ভাবেই শেষ হয়েছে।