কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চতুর্থ দফার ভোটকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই বেশ উত্তেজনা ছিল। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও ছিল রেকর্ড পরিমাণে, ৯৭২ কোম্পানি। অতীতে কোনও ভোটে এত বিপুল পরিমাণ জওয়ান রাজ্যে পাঠানো হয়নি। এদিন ভোট শুরু হতেই ইভিএম খারাপের অভিযোগ আসে। কয়েকটি জায়গায় এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রার্থীদের বাধা ইত্যাদি খবর আসে। সেই মতো ব্যবস্থা নিতে শুরু করে কমিশন। আরিজ আফতাব নিজে বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময়েই খবর আসে, বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলা হয়, তিনি নিজেই গাড়ির কাঁচ ভেঙেছেন। ওই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
বেলা ১১টা নাগাদ খবর আসে, শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। মারা গিয়েছেন চারজন। রীতিমতো হুলস্থুল পড়ে যায় কমিশনে। সঙ্গে সঙ্গে খোঁজখবর শুরু করেন বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনও ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চান রাজ্যের আধিকারিকদের কাছে। কী করে এমন ঘটনা ঘটল, জানতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কমিশনের কর্তারা। জেলা পুলিস সুপারের পক্ষ থেকে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট আসে। বেলা একটা নাগাদ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র শেফালি শ্যারন জানিয়ে দেন, ওই বুথে ভোট স্থগিত করা হল।
বেলা তিনটে নাগাদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পাঁচজনের শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিনিধিদল কমিশনে আসে। তাঁরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে, অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। কিছু পরেই বিজেপি এবং সংযুক্ত মোর্চা হাজির হয় কমিশনে। এদিনের অভিযোগের সংখ্যা আগের তিনটি দফাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রথম দফায় ৬০০-র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছিল। দ্বিতীয় দফায় সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ১২০০-তে। তৃতীয় দফায় ১৮০২টি অভিযোগ এসেছিল কমিশনে। আর চতুর্থ দফায় এসেছে ২৩৭১টি।