গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এহেন তীব্র বিষোদ্গার সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর সভা জমেনি। ভরেনি কাওয়াখালির মাঠ। সকালে যেটুকু ভিড় ছিল, সেটা মূলত হেলিকপ্টার দেখার। কারণ, বেলা ১২টায় সভা মঞ্চের পাশে হেলিপ্যাডে মোদির কপ্টার নামার খানিকক্ষণ পর থেকেই মানুষ সভাস্থল ছাড়তে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা চলাকালীনও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বেও এই মাঠে সভা করেছিলেন মোদি। তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিমল গুরুং। তাই সেদিন মাঠ উপচে জনজোয়ার পৌঁছে গিয়েছিল মহানন্দা সেতু পর্যন্ত। এবার গুরুং নেই। তাই আগের সভার সিকিভাগ লোকও হয়নি। পাহাড় থেকে কিছু লোক আনা হলেও, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শোনেননি।
এদিন ৪০ মিনিটের বক্তব্যে একই প্রসঙ্গই বারবার বলেছেন মোদি। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্দিষ্ট করে তেমন কিছু বলেননি। শুধু জানিয়েছেন, ‘থ্রি-টি—টিম্বার, ট্যুরিজম ও টয়ট্রেন দিয়ে আমরা উত্তরবঙ্গকে সাজাব। চা ও সিঙ্কোনা শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাহাড়ের মানুষের সমস্যার সমাধান করা হবে। প্রত্যেককে জমির পাট্টা পাবেন।’ উন্নয়নের বদলে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণেই বেশি সময় দেন তিনি। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রীর ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর কথাও।
এদিন বিকেলে নদীয়ার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে জনসভা করেন নরেন্দ্র মোদি। টানা তেত্রিশ মিনিটের সেই বক্তৃতাজুড়েও ছিল মমতা ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, কাটমানি, সিন্ডিকেট, তোলাবাজের কটাক্ষ। মতুয়া ভোটারদের কথা মাথায় রেখে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রসঙ্গও টানেন তিনি। সেই সঙ্গে সাফাই দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর হয়ে। মোদি বলেন, ‘দিদি আজ নির্বাচন কমিশন, ইভিএম, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গালি দিচ্ছেন। এখন নিজের দলের এজেন্টদেরও গালি দিচ্ছেন। অথচ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাকি চার রাজ্যের মতো গোটা দেশে সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। দিদি, সমস্যা নির্বাচন কমিশন বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নয়, আপনার। সমস্যা ছাপ্পা ভোট, হিংসার রাজনীতি বন্ধ করার। দিদি মনে রাখবেন, এটা ২০২১। বাংলায় আপনাকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কিছু করতে দেওয়া হবে না।’ ‘ভাইপো’ প্রসঙ্গও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।
কৃষ্ণনগরে স্থানীয় ইস্যু নিয়েও এদিন প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ছিলেন মমতা। তিনি বলেন, এখানকার পুতুল পট্টির দুর্দশার কারণ দিদি। বিজেপি সরকার এই শিল্পকে বাঁচাতে আধুনিক মার্কেটিং ব্যবস্থা চালু করবে। দিদির দুর্নীতি কৃষকের কোমর ভেঙে দিয়েছে। বিজেপি সরকার প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে পিএম কিষাণ সম্মাননিধি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেবে। ১৮ হাজার টাকা করে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছবে। সেই সঙ্গে জলঙ্গি, অঞ্জনা নদী সংস্কারের কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।