কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন প্রথমে জামালপুরের তৃণমূল প্রার্থী অলোক মাঝি ও রায়নার শম্পা ধাড়ার সমর্থনে সেলিমাবাদ সিবি গ্রাউন্ডে জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপর গন্তার ফুটবল মাঠে মন্তেশ্বরের তৃণমূল প্রার্থী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এবং মেমারির মধুসূদন ভট্টাচার্যের সমর্থনে সভা। সবশেষে বর্ধমান-২ ব্লকের জোতরাম হাইস্কুল মাঠে বর্ধমান উত্তরের প্রার্থী নিশীথ মালিক ও দক্ষিণের প্রার্থী খোকন দাসের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন। প্রতিটি সভাতেই শুরুর অনেক আগে ভিড় উপচে পড়ে। রাজ্য সরকারের একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এদিন বিজেপিকেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘বিজেপি গায়ের জোরে সবকিছু করছে। তোমরা যদি জিতবে, তাহলে আমাদের প্রার্থীদের মারছ কেন? ওদের কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে, বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারি করেছে। বিজেপি যা বলছে, ওরা তাই করছে।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘অমিত শাহ কত টাকা আপনার আছে? ভাবছেন, চিরদিন এভাবে চলে যাবে? কোটি কোটি টাকা বিলোচ্ছেন। অথচ কারও ৫০০ টাকা থাকলে আপনারা এজেন্সি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আপনাদের এত টাকা এল কোথা থেকে? আমি জানি, এসব বলার পর আপনারা আমাকে খুন করার প্ল্যান করবেন। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। যতদিন বাঁচব, বাঘের বাচ্চার মতো লড়ব।’ এদিন নরমে গরমে মমতা বোঝান, তিনি শান্তিপূর্ণ ভোট চান। বলেন, ‘ওদের কাজ হিংসা করা, দাঙ্গা করা, মানুষকে ভয় দেখানো। ভয় পাবেন না। আমরা খেলব, বিজেপিকে মাঠের বাইরে বের করব। নিজেদের দ্বন্দ্ব ভুলে যান। সামনে বড় যুদ্ধ। বিজেপিকে একটা ভোটও নয়। বাংলাকে বাঁচান। বাংলা বাঁচলে, দেশ জিতবে।’
মমতা আরও বলেন, ‘বিজেপি ৪২০। লোককে চিট করা ছাড়া কিছু করে না। প্রধানমন্ত্রী এত উল্টোপাল্টা কথা বলেন, কিন্তু বিধিভঙ্গ হয় না। অমিত শাহ বললে হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের কাছে বক্তৃতা দিলেই হয়! আমাকে যত কেস দেবে, আমি তত দীর্ঘজীবী হব।’