কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা। জলখাবার দু’টি রুটি, আলুর তরকারি, এক বাটি ছানা আর এক কাপ চা। তারপর বাড়ি থেকে প্রচার কেন্দ্রের দিকে রওনা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী। নিউটাউনের যাত্রাগাছি খালপাড় বরাবর রাস্তায় নেমে পড়লেন তাপসবাবু। জ্যাংড়া হাতিয়ারা-২ অঞ্চলে বিভিন্ন পাড়ায় ঢুকে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেন তিনি। এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁকে দেখে রীতিমতো আপ্লুত স্থানীয় বাসিন্দারা। বিবেকানন্দপল্লিতে ঢোকামাত্রই প্রার্থীর দিকে উড়ে এল ফুল। সেখানে যেমন সদ্যোজাত সন্তানকে কোলে নিয়ে এক মা দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তেমনই দেখা গিয়েছে সত্তোরোর্ধ্ব বৃদ্ধাকেও। শিশুদের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রচার চলাকালীন তীব্র দাবদাহের মধ্যেও প্রায় প্রতিটি বাড়ির মানুষ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলেন। কেউ কেউ আবার প্রার্থীকে নজিরবিহীন ‘লিড’ দেওয়ার আশ্বাসও দিলেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে বলেন, ‘কোনও চিন্তা নেই দাদা। আমরা তোমার পাশে আছি।’
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র গরমে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। তৃপ্তি দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভা এলাকার গৌরাঙ্গনগরের পড়শিরা। বাড়ি থেকে ঠান্ডা জল এনে প্রার্থীর তেষ্টা মেটালেন। তবে শুধু জল নয়। গরমের মধ্যে প্রিয় জনপ্রতিনিধির শরীর-স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রয়েছে তাঁদের। জলে মেশানো রয়েছে নুন এবং চিনি। গলা ভিজিয়ে স্থানীয় এক পার্টি অফিসে একটু জিরিয়ে নেন তৃণমূল প্রার্থী। মিনিট দশেকের ‘ব্রেক’ নিয়ে ফের প্রচার শুরু। স্থানীয় এক মন্দিরে পুজো দেন তাপস। কথা বলেন সেই মন্দিরের পাশে বসবাসকারী এক মহিলার সঙ্গে। তাঁর নাম সুনীতি অধিকারী। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁর মন্তব্য, ‘তাপসদার সঙ্গে আমাদের বহুদিনের সম্পর্ক। তিনি আমাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন। তাই ভোটবাক্সে আমরা ওনার সঙ্গে থাকব।’ তাঁর আশীর্বাদও নেন প্রার্থী।
রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভা কেন্দ্রে শহরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকার ভোটার অনেক বেশি। মোট ভোটার সংখ্যা তিন লক্ষের কাছাকাছি। গ্রামীণ এলাকায় ভোটপ্রচার সম্পর্কে তৃণমূল প্রার্থী তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছেন। গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি পঞ্চায়েতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তা পাকা করে দেওয়া হয়েছে। শহর-গ্রাম সবদিকেই আমরা শক্তিশালী। তাই ভোটের ফলাফল আমাদের দিকেই ইতিবাচক হবে। তাছাড়া আমি এলাকার ভূমিপুত্র। এখানকার প্রায় সব বাসিন্দা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে লোকসভা ভোটের তুলনায় ভোট বাড়বে বলেই আত্মবিশ্বাসী তাপস।