বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই নন্দীগ্রামে চলে আসছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। দুপুর ২টো নাগাদ নেত্রী আসার পর কর্মিসভা শুরু হবে। সোমবার সকাল থেকেই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নন্দীগ্রাম শাখা লাগোয়া খোলা মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ শুরু হয়। লাগোয়া জমিতেই কর্মিসভার জন্য মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার প্রায় ১৫ হাজার কর্মী ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন। নন্দীগ্রামের মাটিতে প্রথম নির্বাচনী কর্মিসভা ঘিরে দলের কর্মীরা উজ্জীবিত।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের নেপথ্যে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আন্দোলনকারীদের সমর্থন করার জন্য তিনি বারবার নন্দীগ্রামে ছুটে এসেছিলেন। কখনও রাস্তা অবরোধ করে, কখনও গুলি চালিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, এসব করেও তাঁকে আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়নি। সেই কারণেই নন্দীগ্রামকেই বিধানসভা ভোটে নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ে ময়দান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাঁর ইলেকশন এজেন্ট শেখ সুপিয়ান বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের উপর ভরসা রেখেছেন। জমি আন্দোলনের পবিত্র ভূমির মানুষজন সেই আস্থার মর্যাদা দেবেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটের সময় মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। তার আগে সকালে জানকীনাথ মন্দির, বাসুলি মন্দির, রেয়াপাড়ার শিবমন্দির, সামসাবাদে পীরস্থান এবং গোকুলনগরে শহিদবেদিতে যাওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই গোটা বিধানসভা এলাকার সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট রাজ্য সভাপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট নিয়ে বুধবার জরুরি বৈঠক হবে। নন্দীগ্রাম বিধানসভার ১০-১২জনের একটি নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছে। খোদ রাজ্য সভাপতি নিজে নন্দীগ্রাম বিধানসভার দায়িত্ব নিয়েছেন। পূর্ণেন্দু বসু এবং দোলা সেন মঙ্গলবার থেকে প্রচারের শেষদিন পর্যন্ত টানা নন্দীগ্রামে থাকবেন। ব্লক থেকে বুথস্তর পর্যন্ত নেতাদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে ভোটের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দেবেন। নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় মোট চারটি বাড়ি ভাড়ায় নিয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীরা নন্দীগ্রামে এসে সেখানে উঠবেন।
গত ১৮ জানুয়ারি তেখালির জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পরদিন থেকেই দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছিল। গোটা বিধানসভায় এই মুহূর্তে দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স টাঙানো থেকে পতাকা লাগানোর ৮০ শতাংশ কাজ সেরে ফেলেছে তৃণমূল। সোমবার বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) শিবপ্রকাশ নন্দীগ্রামে এসে নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক, সহ সভাপতি প্রলয় পাল সহ আরও অনেকে বৈঠকে অংশ নেন। নন্দীগ্রামের মহেশপুরে এদিন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহেরের নেতৃত্বে কর্মিসভা হয়।