বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
একে দলের অবস্থা দুর্বল, তার উপর বর্তমান বিধায়কদের টিকিট কেটে দিলে কোনও লাভ নেই। উল্টে বাংলায় বিজেপির আগ্রাসী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঝুঁকি তো আছেই। তাই বামেদের সঙ্গে জোটে যে ৯২টি আসনে (২০১৬ সালেও এই একই সংখ্যায় লড়েছিল) প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি ঠিক হয়েছে, তার মধ্যে থেকে বর্তমানে মাত্র ২৩ জন বিধায়ক রয়েছেন। গতবার ৪৪ টি আসনে জিতলেও পরে বেশিরভাগই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান বিধায়কদের কাউকেই ছাঁটতে চাইছে না কংগ্রেস। সোমবার জে পি আগরওয়ালের নেতৃত্বে প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা আব্দুল মান্নান, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত জিতিন প্রসাদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এবারই প্রথম ‘একলা চলো’ নীতি গায়েব। বেনজিরভাবে অসমেও পাঁচ দলের সঙ্গে জোট বেঁধে কংগ্রেসকে নির্বাচনী ময়দানে নামতে হচ্ছে। নাম দেওয়া হয়েছে মহাজোট। যদিও তারই মধ্যে পাঁচটি আসনে বদরুদ্দিন আজমলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে। বিজেপির সঙ্গী বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টও এবার কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তরুণ গগৈয়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বে অসমে ১৫ বছর সরকারে থাকার পর গতবার হেরেছিল কংগ্রেস। কারও সঙ্গে এতদিন জোট করেনি। একলা লড়েছিল। কিন্তু দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না সোনিয়া। তাই মহাজোট বেঁধেছে দল।
একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে বাম, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, কেরলে ইউডিএফ জোট এবং পুদুচেরিতে ডিএমকের সঙ্গে জোটে লড়ছে কংগ্রেস। আসন কম দিলেও মেনে নেওয়া হচ্ছে। দলের অন্দরেও এই ব্যাপারে ক্ষোভ বাড়ছে। এই নিয়ে ক্ষোভ শুরু হয়েছে তরুণ ব্রিগেডেও। গুজরাতের লড়াকু তরুণ হার্দিক প্যাটেল অভিযোগ করেছেন, তাঁকে কংগ্রেস দলে নিলেও তেমন কাজেই লাগাচ্ছে না।