বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
রঘুনাথপুরে শিল্পতালুক গড়ার জন্য রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের আওতায় আছে ২ হাজার ৪৮৩ একর জমি। এর ৪১ শতাংশ জমির উপর তৈরি হবে কারখানা। যেখানে প্রস্তাবিত শিল্পনগরী গড়ে ওঠার কথা, তার পাশেই রয়েছে প্রস্তাবিত অমৃতসর-কলকাতা ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর। ১ হাজার ৮৫৬ কিমি প্রশস্ত এই পণ্য পরিবাহী রাস্তা লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি পর্যন্ত আসার কথা। এই করিডর সহ দেশের মোট পাঁচটি করিডরের ভার রয়েছে ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন ট্রাস্টের উপর। এই ট্রাস্ট তৈরি হয়েছে ডিপার্টমেন্ট ফর প্রোমোশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেডের আওতায়, যা কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন। রাজ্য যে শিল্পনগরী গড়বে, তাতে প্রস্তাবিত খরচের অর্ধেক দেবে এই ট্রাস্ট। রাজ্য এবং কেন্দ্র যাতে একযোগে গোটা কাজটি করতে পারে, তার জন্য গঠন করা হয়েছে ‘স্পেশাল পারপাস ভেহিকল’।
কী কী শিল্পের জন্য এই পরিকাঠামো গড়া হচ্ছে? রাজ্য শিল্পদপ্তরের কর্তারা বলছেন, সেই তালিকায় আছে সিমেন্ট, ধাতু প্রক্রিয়াকরণ, অটোমোবাইল, সেরামিক, বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ এবং ছোট শিল্পের ক্লাস্টার। কর্তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে গেইল-এর যে গ্যাস পাইপলাইন এসেছে, তার সুবিধা পাবে এই প্রকল্প। শিল্পদপ্তরের এক কর্তার কথায়, প্রাথমিকভাবে প্রকল্প পরিকাঠামো গড়ার জন্য এক হাজার কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যের ভাগে যে খরচটুকু আছে, তার মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা জমির দাম ধরা আছে। বাকি টাকা সরকার পরিকাঠামো খাতে দেবে। বাজেটে সেই বাবদ ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা আছে। অর্থাৎ প্রকল্প শুরু করার জন্য এই মুহূর্তে যে টাকার দরকার, তার চেয়ে বেশি টাকা রাখা আছে রাজ্যের তরফে। প্রকল্প খরচ বাড়লে কেন্দ্র যত টাকা দেবে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই রাজ্য সরকার তার টাকা দেবে, এমনটাই জানিয়েছেন ওই কর্তা। যে শিল্পনগরী তৈরি হচ্ছে, তার দু’টি ভাগ। একটি ভাগে আছে ১ হাজার ৭৫০ একর জমি, বাকিটিতে আছে বাদবাকি জমি। এই দু’টি প্রকল্পই স্টিল পার্ক তৈরির জন্য বরাদ্দ ছিল বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
জঙ্গল সুন্দরী
প্রাথমিকভাবে এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গড়তে কেন্দ্র দেবে ৫০০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের ভাগে যে খরচ আছে, তার মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা জমির দাম।
রঘুনাথপুর স্টিল পার্কেই তৈরি হবে প্রস্তাবিত শিল্পনগরী। মোট জমির ৪১ শতাংশ জায়গায় কারখানা গড়া হবে।
যে অমৃতসর-কলকাতা করিডর তৈরি হচ্ছে, তার ৫০ কিমির মধ্যে রয়েছে প্রস্তাবিত পার্ক।
ইতিমধ্যেই রঘুনাথপুরে ডিভিসি তার প্রকল্প চালু করেছে। পাশাপাশি এই প্রকল্পে যুক্ত হবে গেইল-এর গ্যাস পাইপলাইন। তাই শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে তা বাড়তি সুবিধা দেবে।