পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এরপরই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র পরিবর্তন নিয়ে তীব্র শ্লেষ ছুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে হাজরা মোড় থেকে নবান্ন পর্যন্ত ইলেকট্রিক স্কুটিতে সওয়ারি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আপনি স্কুটি চালাচ্ছিলেন। আরে দিদি আপনি তো শুধু বাংলা নন, গোটা দেশের দিদি। আপনি যখন স্কুটি চালাচ্ছিলেন সারা দেশ প্রার্থনা করছিল, যাতে আপনি পড়ে না যান। না হলে যে রাজ্যে স্কুটি তৈরি হয়েছে, সেই রাজ্যকে শত্রু বানিয়ে নিতেন।’ তারপরই প্রধানমন্ত্রীর তীব্র কটাক্ষ, ‘কিন্তু দিদি ভবানীপুরের বদলে স্কুটি নন্দীগ্রামে ঘুরে গেল। স্কুটি নিজেই যখন নন্দীগ্রামে পড়ে যাওয়া নিশ্চিত করেছে, তখন আমি কী করব!’ রাজনৈতিক মহলের দাবি, সরাসরি না বলেও ব্রিগেডের লাখো জনতাকে প্রধানমন্ত্রী কার্যত বুঝিয়ে দিলেন, নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ যুদ্ধে শেষ হাসি হাসবেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীই। তাই মঞ্চে তাঁকে সাক্ষী রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর বার্তা দিতে চেয়েছেন মোদি।
এদিনের সভাতেই গেরুয়া পার্টিতে যোগ দেন বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়ে তাঁর ঘোষণা, ‘আমি গর্বিত আমি বাঙালি।’ মোদির মঞ্চে নয়া এই রাজনৈতিক ইনিংস শুরুকে স্বপ্নপূরণ বলে অভিহিত করেছেন ‘মহাগুরু’।
বাংলায় ক্ষমতায় এলে বিজেপি সরকার কী করবে, সেই প্রসঙ্গে এদিন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। যাঁর মধ্যে অন্যতম, আগামী দিনে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কারিগরি শিক্ষায় বাংলা ভাষা প্রচলনের ইঙ্গিত। মোদির কথায়, ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় শিক্ষা নীতি সঠিকভাবে কার্যকর হবে। গরিব ছেলেমেয়েরা ইংরেজি বুঝতে পারে না। তাই ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কারিগরি শিক্ষা বাংলা ভাষায় হোক, এই বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও বাংলার পর্যটন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং বন্দর সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে প্রভূত উন্নতির সুযোগের কথা শোনা গিয়েছে মোদির এক ঘণ্টা সাত মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে। কলকাতাকে কেন্দ্র করে উড়ালপুল, গরিবদের বাড়ি তৈরি সহ একাধিক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।