রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এরই পাশাপাশি, কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনকভাবে ১০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন হলে তাও জানাতে হবে প্রশাসনকে। প্রতিটি ভোটে প্রার্থীদের খরচ ও কালো টাকার ব্যবহারের উপর নজর থাকে কমিশনের। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের লেনদেনকেই তারা পাখির চোখ করে। শুধু তাই নয়, প্রার্থীদের জন্য নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ারও কথা বলা হয়েছে ওই কার্য বিধিতে। কমিশন চাইছে, নির্বাচনী খরচের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রার্থীরা একটি বিশেষ অ্যাকাউন্ট
খুলুন। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে ভোটের খরচ করা হোক।
বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ কত টাকা খরচ করতে পারবেন তা বেঁধে দেয় কমিশন। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে খরচের বিস্তারিত হিসেব জমা দিতে হয় প্রার্থীদের। আর রাজনৈতিক দলগুলিকে পেশ করতে হয় ফল প্রকাশের ৭৫ দিনের মধ্যে। প্রচার পর্ব চলার সময় প্রতিদিনের হিসেব জমা দিতে হয় সবাইকে। কমিশন নিজস্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রার্থীদের খরচের উপর নজর রাখে। প্রতি কেন্দ্রের জন্য হিসেব সংক্রান্ত একজন পর্যবেক্ষক থাকেন। রাজ্যের জন্য এবার একজন বিশেষ হিসেব পর্যবেক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রার্থীদের মিটিং, মিছিলের ভিডিও করে কমিশন নিযুক্ত একটি দল । কত সংখ্যক চেয়ার, ব্যানার, পোস্টার প্রভৃতির খরচের হিসেব রাখতে এই উদ্যোগ কমিশনের।
প্রার্থীদের খরচের উপরও নজর রাখতে একাধিক বিশেষ টিম গঠন করতে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ঘুরে ঘুরে অভিযান চালাবে এমন ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’ গঠন করতে হবে। বেআইনি টাকার লেনদেন, বিভিন্ন সামগ্রী কিংবা মদ বিলি প্রভৃতির উপর কড়া নজর রাখবে টিমের সদস্যরা। এই প্রক্রিয়ায় সঙ্গে যুক্ত থাকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি। এর মধ্যে পুলিস ছাড়াও আয়কর, ইডি, ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, আরপিএফ, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো প্রভৃতি রয়েছে।
রাজ্যের আবগারি বিভাগকে ভোটের সময় মদের উৎপাদন, বিক্রি ও বিপণনের উপর বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। ফ্লাইং টিমের গতিবিধি জিপিএস ও বিশেষ ই-ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে নজর রাখা হবে। বিমানবন্দরে আয়কর দপ্তরের এয়ার ইন্টেলিজেন্স উইংকে সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিমান পথে বেআইনি টাকা নিয়ে আসা ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা। তবে টাকার লেনদেনের উপর নজরদারির জেরে সাধারণ মানুষ যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সেটাও দেখতে বলেছে কমিশন। এর জন্য প্রতি জেলায় তিন জন প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। টাকা আটকের বিষয়টি এই টিম খতিয়ে দেখবে। সাধারণ মানুষ তাদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। পর্যালোচনা করে যদি দেখা যায় আটক হওয়া টাকার সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই, তবে তা দ্রুত ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিশন।