কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দ্বিতীয়ত, আমাদের রাজ্যে প্রথম নির্বাচন ২৭ মার্চ। আমাদের রাজ্যে যেমন ওই দিন ভোট আছে, তেমনই আছে অসমেও। ২৭ মার্চ তারিখটা গোটা পৃথিবীতে পালিত হয় ‘বিশ্ব নাট্য দিবস’ হিসেবে। এটা ইউনেস্কো স্বীকৃত একটা আন্তর্জাতিক দিন। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অসমেও দিনটি পালিত হয় যথাযোগ্য মর্যাদায়। এমনকী দু’টি রাজ্যেই নিম্নবর্গীয় শ্রেণি... যাকে বলা হয় ‘সাব অলটার্ন ক্লাস’, তাঁরাও থিয়েটার চর্চা করেন এবং এই দিনটি পালন করেন। এমন দিনে কীভাবে নির্বাচন রাখা হল! মার্গ সঙ্গীতের মতো থিয়েটারও কিন্তু সংখ্যালঘু মানুষের শিল্প। মানে সিনেমা বা টিভি সিরিয়াল যত সংখ্যক মানুষ দেখেন, তার থেকে অনেক কম সংখ্যক মানুষ থিয়েটার ও মার্গ সঙ্গীত নিয়ে চর্চা করেন। তাহলে কি আমাদের দেশের সরকার, রাষ্ট্রযন্ত্র সংখ্যালঘু এই শিল্পকে মান্যতা দেয় না! অন্য রাজ্যেও ভোট হচ্ছে, সেখানে কিন্তু ২৭ মার্চ নির্বাচন নেই। অথচ সেসব রাজ্যে থিয়েটার নিয়ে অত মাতামাতি নেই। পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম, যে রাজ্য দু’টিতে থিয়েটার নিয়ে চর্চা বেশি, সেই দুই রাজ্যেই ২৭ মার্চ নির্বাচন! আমি এর প্রতিবাদ জানাই। মেদিনীপুরের যে অঞ্চলগুলিতে ওইদিন ভোট হবে, সেসব জায়গায় তো বিরাট আকারে দিনটি পালিত হয়!
তৃতীয়ত, ঠিক তার পরদিন, অর্থাৎ ২৮ মার্চ দোল উৎসব। নিছক ধর্মীয় উৎসব হিসেবে একে না দেখে আমি বলব রবীন্দ্রনাথের সেই কথা... ‘সবার রঙে রং মেশাতে হবে’। জাতপাত, ধর্ম নির্বিশেষে রবীন্দ্রনাথ দিনটিকে পালন করতেন শান্তিনিকেতনে। আগের দিন ভোট থাকায় এই দোল উৎসবও বিঘ্নিত হবে। অন্যান্য রাজ্যে কিন্তু এই অসুবিধে হবে না। কারণ সেখানে হোলি হয় একদিন পর। অসুবিধা কেবল পশ্চিমবঙ্গে। এখানেও আমার আপত্তি রয়েছে। তীব্রভাবে।