পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূল জিতেছিল ২১১টি আসন। এবার ২২১টি আসন জয়ের টার্গেট নিয়েছে তৃণমূল। তাতে দেখা গিয়েছে, বাদ পড়েছেন পাঁচজন মন্ত্রী। তাঁরা হলেন অমিত মিত্র, পূর্ণেন্দু বসু, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, বাচ্চু হাঁসদা ও রত্না ঘোষ কর। তবে অসুস্থতার কারণে অমিতবাবুকে এবারের ভোটযুদ্ধ থেকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তিনি ট্যুইট করে জানান, আমি মমতার পাশে এবং তাঁর সংগ্রামে রয়েছি। যেভাবে নির্মম শক্তি দেশে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন মমতা। তিনি সমানাধিকার ও কর্মসংস্থানের উপর জোর দিয়েছেন, আমি তাঁর সঙ্গে আছি।
ভোটের কাজে বিশেষ ব্যস্ত থাকবেন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তাই এবার রাজারহাট-গোপালপুর আসনে পূর্ণেন্দুর জায়গায় অদিতি মুন্সিকে প্রার্থী করা হয়েছে। অসুস্থতার কারণে এবার প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাকে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে কোনও বিধায়ককে এবার প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি। দেখা গিয়েছে, ৫৭ জন বর্তমান বিধায়ক বাদ পড়েছেন। বিধায়ক বাদ ও প্রার্থী বদল নিয়ে কেন্দ্রের সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। বার্ধক্যজনিত কারণে বাদ পড়েছেন ব্রজমোহন মজুমদার, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, জটু লাহিড়ি, পরশ দত্ত, সুরজিৎ বিশ্বাস, রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়রা। তবে রবিরঞ্জন, পরশ এবং সমীর চক্রবর্তী দলকে জানিয়েছিলেন, এবার তাঁরা ভোটে লড়তে চান না। বর্তমান বিধায়কদের মধ্যে ১৪টি আসনে বদল করা হয়েছে। তারমধ্যে ৬ জন মন্ত্রীর জায়গা বদল করেছে দল। কলকাতার বিধায়কদের মধ্যে বাদ গিয়েছেন মালা সাহা, স্মিতা বক্সি। এছাড়াও বাদ পড়েছেন সোনালি গুহ, দেবশ্রী রায়। নারায়ণগড় কেন্দ্রে গত ভোটে সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে হারিয়ে ছিলেন প্রদ্যুৎ ঘোষ। এবার তিনি বাদ পড়েছেন। নাম বাদ পড়ায় কেঁদে ফেলেছেন সোনালী, মালারা। আবার কামারহাটি কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকায় নাম দেখে খুশি মদন মিত্র। খুশি বেহালা পূর্বের প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়। আর বেচারাম মান্না এবং তাঁর স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন হুগলির দু’টি আসনে। শঙ্কর সিং এবং তাঁর পুত্র প্রার্থী হয়েছেন নদীয়ার দু’টি আসন থেকে।