বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কিন্তু কেন প্রতি কেন্দ্রে দু’জন করে প্রার্থীকে তৈরি রাখা হচ্ছে? জবাবে দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, কোনও কারণে প্রথম পছন্দের প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র খারিজ হলে, যাতে সমস্যা না হয়, সে কারণেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। কারণ, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে রানাঘাট কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছিল মুকুটমণি অধিকারীকে। কিন্তু সরকারি নিয়মের জাঁতাকলে পড়ে তাঁর প্রার্থীপদ খারিজ হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নতুন প্রার্থী দাঁড় করাতে হয়েছিল। সেই বিড়ম্বনা এড়াতেই এই বিকল্প পন্থা নেওয়া হয়েছে।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে কেন এত বিলম্ব হচ্ছে? জানা গিয়েছে, মোদির ব্রিগেডকে সফল করতেই এই সিদ্ধান্ত। কারণ, রবিবার ব্রিগেডের আগে ৬০ জনের তালিকা প্রকাশিত হলে এই বিরাট সমাবেশে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। কেননা, ৬০টি আসনের জন্য প্রায় ৪০০ বিজেপি নেতা-কর্মী নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ভাবছেন। সেক্ষেত্রে তালিকা প্রকাশ হয়ে গেলে একটা বড় সংখ্যক নেতা-কর্মী বসে যেতে পারেন। ফলে তার কুপ্রভাব পড়তে পারে ব্রিগেড সমাবেশে। শুধু তাই নয়, প্রথম দু’দফার ভোট বঙ্গের যে অংশে, সেখান থেকে বড় সংখ্যক মানুষকে ব্রিগেডে আনার লক্ষ্য নিয়েছে পদ্ম শিবির। ভিড়ের নিরিখে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম-কংগ্রেস জোটের ব্রিগেডের ভিড় রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। তাই ভোট ঘোষণার পর এই বড় মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে প্রচার শুরুর ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ‘রিক্স’ নিতে চাইছেন না দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। সব মিলিয়ে মোদির ব্রিগেডের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে মসৃণভাবে প্রথম দফার ৩০টি আসনে প্রার্থীদের দিয়ে মনোনয়ন পত্র পেশ করানোই এখন বিজেপি কাছে আরও এক চ্যালেঞ্জ।