পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ, শুক্রবার বাকি তিন রাজ্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। এদিন রাতের বৈঠকের আগে অবশ্য দু’দফায় বাংলার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার বাড়িতে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে হাজির ছিলেন অমিত শাহও। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ সহ বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির সঙ্গে প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক করেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা।
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দু’জন সংসদ সদস্যর নাম উঠে এসেছে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আরও যেসব নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে, সেগুলি হল—শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভ্রাংশু রায়, সব্যসাচী দত্ত, শীলভদ্র দত্ত, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, মিহির গোস্বামী, সজল ঘোষ প্রমুখ। অর্থাৎ, নিজেদের সংগঠনের উপর বিশেষ ভরসা না থাকা বিজেপিকে দলবদলুদের উপরই নির্ভর করতেই হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া একঝাঁক তারকার নাম নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যাঁদের মধ্যে রুদ্রনীল ঘোষ, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, যশ, হিরণের মতো তারকার নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। প্রার্থী হতে পারেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসুও।
টিকিট দেওয়া হতে পারে রাহুল সিনহা, সৌরভ শিকদার, অগ্নিমিত্রা পাল, সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যেপাধ্যায়, রীতেশ তিওয়ারি, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর মতো বিজেপি নেতাদের। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম রয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দারও। টিকিট পেতে পারেন ভারতী ঘোষ।
এদিন জে পি নাড্ডার বাড়িতে বৈঠক শুরুর আগে দিলীপবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি ২০০টির বেশি আসনেই জয়লাভ করবে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, বাংলায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই বারবার ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিচ্ছে শাসক দল। অন্যদিকে, দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার দিনেই বিজেপির এক প্রতিনিধি দল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করেছে যে, রাজ্যের ১২৫টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। বরং রাজ্য সরকার সেগুলিতে প্রশাসক হিসেবে শাসক দলের নেতাদের বসিয়ে দিয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে অবিলম্বে এইসব প্রশাসককে সরিয়ে দিতে হবে।