গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দোলের ছুটিকে সামনে রেখে দীঘার হোটেল-লজের ৮০ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভোট ঘোষণা হতেই পর্যটকরা বুকিং বাতিল করা শুরু করেছেন। সারা বছরের মধ্যে দোলের সময়ই দীঘায় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। হোটেল মালিক থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন, করোনার ক্ষতে কিছুটা হলেও দোলের ভিড় প্রলেপ দেবে। কিন্তু, সেই আশায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে কমিশন।
২৭মার্চ, শনিবার রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন দীঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি ও তাজপুরে ভোট হবে। পরদিন রবিবার ও সোমবার দোল ও হোলি উপলক্ষে ছুটি রয়েছে। প্রতি বছরই ওই দু’দিন দীঘায় এরাজ্য তো বটেই, ভিন রাজ্য থেকেও প্রচুর পর্যটক ভিড় জমান। কিন্তু এবার দোলের সময় দীঘায় পর্যটকদের ভিড় থাকবে না।
সৈকত শহরে পাঁচ শতাধিক হোটেল-লজ রয়েছে। পর্যটকদের উপর নির্ভর করেই চলে অটো, টোটো থেকে শুরু পরিবহণ ব্যবসায়ীদের সংসার। তাছাড়াও দোলের অপেক্ষায় থাকেন ছোট ছোট দোকানের মালিকরা। তাঁরা সকলেই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
অতিমারি-পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি থেকে অনেকেরই নাভিঃশ্বাস উঠেছিল। সংক্রমণের হার কিছুটা কমতেই তারা দোলের সময় বেরিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী নির্ঘণ্টের গেরোয় সেই পরিকল্পনা শিকেয় উঠেছে। অথচ গত জানুয়ারি মাসেই অনেকে ২৭ থেকে ২৯মার্চ পর্যন্ত হোটেল-লজ বুক করে ফেলেছিলেন। নির্বাচন ঘোষণার পর শুরু হয়েছে সেই বুকিং বাতিলের পালা। নিউ বারাকপুরের অঙ্কিতা রায় দত্ত বলেন, আমরা চেয়েছিলাম, দোলের সময়টা দীঘায় কাটাব। সেইমতো বুকিংও করা হয়েছিল। কিন্তু সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, এই পরিস্থিতির জন্য দীঘার হোটেল-লজ, পরিবহণ সহ অন্যান্য সমস্ত ব্যবসার ক্ষতি হবে। কোভিড-পরিস্থিতির ক্ষতি সামলে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভোটের নির্ঘণ্টের কারণে ফের বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ে গেলাম। অনেকেই জেলাশাসক ও নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটের দিন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানানোর কথা ভাবছেন। আমরাও সেই দাবি জানাব। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট মহলের নজরে আনা হয়েছে। আমরা এবিষয়ে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়!