কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষে যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘কেন্দ্রের ক্ষমতায় যারা বসে আছে, তারা সুবিচারের ভাষা বোঝে না। শুধুমাত্র ভোটের ভাষা, ক্ষমতার সিংহাসনের ভাষা বুঝতে পারে। কৃষকরা এবার সেই ভোটের ভাষাতেই তাদের জবাব দেবেন। পাঁচ রাজ্যে গিয়ে সেখানকার ভোটদাতা, কৃষকদের কাছে আমরা আবেদন করব, যে বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলি কৃষক-বিরোধী আইন এনেছে, প্রতিনিয়ত কৃষকদের অপমান করার চেষ্টা করছে, তাদের যেন শাস্তি দেওয়া হয়। কে কাকে ভোট দেবেন, সেটা আমরা বলছি না। সংযুক্ত কিষান মোর্চা শুধুমাত্র বিজেপিকে শাস্তি দেওয়ার আবেদন করবে।’ এই পরিপ্রেক্ষিতেই যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘কলকাতায় সমাবেশের পর রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে আবেদন নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর অন্যান্য ভোট-রাজ্যেও এভাবে কৃষক সমাবেশ হবে।’ এদিন সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষে বলবীর এস রাজেওয়াল বলেন, ‘আমরা কোনও নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করতে বলছি না। বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সেইসব প্রার্থীকেই ভোট দেওয়ার আবেদন করছি, যাঁরা বিজেপিকে পরাজিত করতে পারবেন। কৃষকদের প্রতি মোদি সরকারের যে দৃষ্টিভঙ্গী, তা আমরা প্রকাশ্যে আনব।’
অর্থাৎ, বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি পূরণে এবার অস্ত্র বিধানসভা ভোট। কেন্দ্র-বিরোধিতায় এদিন পরবর্তী দু’সপ্তাহের কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়েছে, আগামী ৬ মার্চ, আন্দোলনের ১০০তম দিনে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ কুণ্ডলি-মানেসর-পালওয়াল (কেএমপি) এক্সপ্রেসওয়ে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে। ওইদিন প্রতিটি বাড়ি, দোকান এবং প্রতিষ্ঠানে মোদি-বিরোধিতায় কালো পতাকা এবং পোশাকে কালো ব্যাজ লাগানোরও আহ্বান করেছেন কৃষকরা। ৮ মার্চ দিল্লির সীমানাগুলিতে পালন হবে নারী দিবসও। আর ১৫ মার্চ সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি পালন করবেন কৃষকরা।