রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের মাঝামাঝি রাজ্যে শুরু হয় জলস্বপ্ন প্রকল্প। গত বছরের আগস্ট মাসেও করোনা ভাইরাসের মারাত্মক প্রভাব ছিল। ভাইরাসের আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে রেখেই দপ্তরের কর্মীরা এই প্রকল্পকে সফল করতে মাঠে নেমে পড়েন। ব্লক ও পঞ্চায়েত ধরে শুরু হয় কাজ। সময় যত গিয়েছে কাজের গতিও বেড়েছে। বর্তমানে এই প্রকল্পের মাধ্যমেই ১০লক্ষ ২হাজার ৫০০ বাড়িতে নতুন করে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ এতে উপকৃত হচ্ছেন। প্রতি জেলাতেই এই প্রকল্পে এসেছে সাফল্য। গ্রামীণ এলাকায় কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসার বদলে সমালোচনা শুনে হতাশ করোনাকালে মানুষের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা কর্মীরা।
দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, জল স্বপ্ন প্রকল্পে ১০ লক্ষের বেশি বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
যদিও এই সাফল্যের কথা না বলে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সভা থেকে প্রথমে বলেন, বাংলার গ্রামে প্রায় পৌঁনে দু’কোটি পরিবারের কাছে পরিস্রুত নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার কথা, অথচ মাত্র দু’লক্ষ বাড়িতে তা পৌঁছেছে। যদিও পরেই তিনি বলেন, কেন্দ্রের তাড়ায় ন’লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছেছে। এই বিষয়টিকে সামনে এনেই প্রধানমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করছেন বলে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী বাংলার সাফল্যকে ছোট করে রাজ্যকে অপমান করছেন। ভোটারদেও ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন।
শিল্পাঞ্চলের দুই মেগা শহর আসানসোল ও দুর্গাপুরের পরিস্রুত পানীয় জল নতুন নতুন এলাকায় পৌঁছে দিতে লাগাতার কাজ করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। কুলটি জামুড়িয়া এমনকী আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন করে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় তার প্রক্রিয়া চলছে। তাই জল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা প্রচার করছেন বলেই তৃণমূল নেতাদের দাবি। আসানসোল পুরসভার জলদপ্তরের প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য ও বর্তমান পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য পূর্ণশশী রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী পারলে একবার আসানসোল এসে দেখে যান, কত নতুন বাড়িতে আমরা জলের সংযোগ দিয়েছি। বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। দুর্গাপুর পুরসভার জলদপ্তরের মেয়র পরিষদ সদস্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মতো মানুষ ভুল তথ্য দিচ্ছেন, এটাই দুর্ভাগ্যের।