গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তিনটি সংস্থা বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্ত করছে। প্রথম দু’-তিনদিন তাঁরা তেমন কিছু খুঁজে পাননি। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁদের হাতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। সেই সূত্র ধরেই অপরাধীর কাছে তাঁরা পৌঁছতে চাইছেন। তাঁরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন রাতে স্টেশনের আশপাশে কয়েকজনকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। বিস্ফোরণের পর তারা উধাও হয়ে গিয়েছিল। ওই যুবকরা কারা সেটা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে জেরা করা হয়েছে। তবে এদিন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বিস্ফোরক তৈরিতে ওস্তাদ সূতির কয়েকজনকে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
গোয়েন্দাদের দাবি, এই ধরনের বিস্ফোরক জঙ্গি সংগঠনগুলি ব্যবহার করে। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানোর রেকর্ড এই জেলায় নেই। তবে উন্নতমানের ডিভাইস এবং বিস্ফোরক এর আগেও মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে। ধুলিয়ানে কয়েক বছর আগে এমনই আইইডি উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে আবার জেএমবির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছিল। তাই এই বিস্ফোরক তৈরিতে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের যুক্ত থাকার সম্ভাবনাও আধিকারিকরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাদের কেউ অর্ডার দিয়ে বোমা বানিয়ে থাকতে পারে।
এক আধিকারিক বলেন, বিস্ফোরণে উন্নত মানের ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে সেই ডিভাইসের অংশ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া মোটা পাতের চাদর ব্যবহার করা হয়েছিল। তার টুকরোও স্টেশন চত্বর থেকে পাওয়া গিয়েছে। আধিকারিকরা মনে করছেন, বিস্ফোরক রাখার পর দুষ্কৃতীরা ১নম্বর প্ল্যাটফর্মে চলে গিয়েছিল। সেখানেই দাঁড়িয়ে তারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে। বিস্ফোরকের উৎস খুঁজে বের করতে না পারলে আগামী দিনে বিপদ বাড়বে। তাদের ধরতে না পারলে দুষ্কৃতীরা আরও বড় হামলা চালাবে। তাই ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য তিনটি সংস্থাই উঠেপড়ে লেগেছে। তবে, এই ঘটনার পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে বলে তারা নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, ১৭ফেব্রুয়ারি কলকাতায় যাওয়ার জন্য নিমতিতা স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। ২নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে মন্ত্রী সহ ২৩জন জখম হন। মন্ত্রীর অনুগামীদের দাবি, গোরু পাচারে বাধা দেওয়ার জন্য তাঁকে দু’বছর আগে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে ভয় দেখানো হয়েছিল। তাই এই ঘটনার সঙ্গে পাচারকারীরা যুক্ত রয়েছে কি না, সেটা আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন।