কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সরকারি মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ভুল তথ্য পরিবেশন করলে তার নেতিবাচক প্রভাব গোটা দেশে পড়ে। ভারতের প্রত্যেক প্রান্তে বাংলার সরকার সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়। ভোটের মুখে যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ড্যামেজ করবে, আর ডিভিডেন্ড দেবে বিজেপিকে। কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন প্রচারের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকার। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘অসত্য তথ্য দিচ্ছে বিজেপি সরকার। ভোটের মুখে ইচ্ছে করে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। ভাবছে, এভাবে ভোটে জেতা যায়। সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না।’
২০২১-২২ আর্থিক বছরের রেল বাজেটে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির অধিকাংশতেই নামমাত্র বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে কারণে ভোটের মুখে ফুট ওভারব্রিজ, লিফট, এসক্যালেটর, এগজিকিউটিভ লাউঞ্জের মতো একাধিক পরিষেবা চালু করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মন জয় করতে মরিয়া হয়েছে রেলমন্ত্রক। গত বুধবারের পর শুক্রবারও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের এহেন একগুচ্ছ রেলযাত্রী পরিষেবা এবং প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন পীযূষ গোয়েল। আর সেই মঞ্চেই নাম না করে বিঁধেছেন রাজ্যের শাসক দলকে। এদিন পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মোট ১১টি যাত্রী পরিষেবা চালু করেছেন রেলমন্ত্রী। সেগুলি হল সাঁতরাগাছি স্টেশনে দ্বিতীয় ফুট ওভারব্রিজ, সাঁকরাইল ফ্রেট টার্মিনাল (ফেজ-ওয়ান), হাওড়ায় বিবেকানন্দ মেডিটেশন সেন্টার, শিয়ালদহ স্টেশনে এগজিকিউটিভ লাউঞ্জ, দু’টি এসক্যালেটর ও দু’টি লিফ্ট, কলকাতা স্টেশনে প্রিমিয়াম লাউঞ্জ, বর্ধমান স্টেশনে ইন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি সিস্টেম, ঝামটপুর বহরান ও নিমো স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ, বলাগড় ও গুপ্তিপাড়া স্টেশনে সম্প্রসারিত প্ল্যাটফর্ম শেড এবং বর্ধমান, তারকেশ্বর ও নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে এসক্যালেটর।
এদিন রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, সারা দেশের সাড়ে আট হাজার স্টেশন সম্পূর্ণভাবে পরিচ্ছন্ন। স্টেশন মাস্টারদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেল বিশ্বের প্রথম দূষণমুক্ত রেলওয়ে নেটওয়ার্ক
হবে বলে ঘোষণা করেছেন পীযূষ গোয়েল। এদিন রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাঁকরাইল ফ্রেট টার্মিনালের (ফেজ ওয়ান) জন্য খরচ
হয়েছে ১০৯ কোটি টাকা। হাওড়ায় বিবেকানন্দ মেডিটেশন সেন্টার তৈরি হয়েছে ৬৫ লক্ষ টাকায়। যার মধ্যে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে সংসদ সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্যের এমপি ল্যাড থেকে। এখানে ৭০ জন একসঙ্গে ধ্যান করতে পারবেন। শিয়ালদহ স্টেশনে সম্পূর্ণ বাতানুকূল এগজিকিউটিভ লাউঞ্জ তৈরি হয়েছে দু’হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে। শুক্রবারও রেলমন্ত্রী বলেছেন, ‘কেন্দ্রের কাছে অর্থের অভাব নেই। যত দ্রুত জমি পাওয়া যাবে, তত তাড়াতাড়ি রেলপ্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।’