পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেন ২৪ ফেব্রুয়ারির ইঙ্গিত? ভোট ঘোষণার ৭২ ঘণ্টা আগে নির্বাচন কমিশন একটি এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) তৈরি করে। সেই ‘এসওপি’ জেলায় জেলায় পাঠানো হয়। ইতিমধ্যেই তা জেলাশাসক, পুলিস সুপারদের পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়া মাত্র আদর্শ আচরণ বিধি চালু হয়ে যায়। তার জন্য সরকারি গাড়ি ব্যবহার, দেওয়াল লিখন, লাইসেন্সড রিভলভার জমা দেওয়া সহ বেশ কিছু নির্দেশিকাও জারি হয়। তৈরি হয় তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর অভিযোগ জানানোর সেল। কালো টাকার ব্যবহার ঠেকাতে ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থাকে নির্দেশ পাঠানো হয়। এই সব কাজই শুরু হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের ‘হাইভোল্টেজ’ বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু দিনক্ষণ ঘোষণার অপেক্ষা।
‘হাইভোল্টেজ’ তকমা এবার দিচ্ছে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই। রাজনৈতিক মহল বলছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। বিজেপি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরে বারবার সরব হচ্ছে, বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ। সেই মতো নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবারও করেছে তারা। কমিশনের প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অতি স্পর্শকাতর বুথ মাত্র ২০ শতাংশ। সেই বুথগুলি মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এই পাঁচটি জেলার উপরে বিশেষ নজর রয়েছে কমিশনের। তবে ভোট ঘোষণা হলে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়বে। বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তার জন্য পুলিস সুপারদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে নিজের জেলার আইন-শৃঙ্খলার রিপোর্ট কমিশনকে পাঠান জেলাশাসক-পুলিস সুপাররা। জমা পড়া সেই সব রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, অতি স্পর্শকাতর বুথ কিছুতেই ২০ শতাংশের বেশি নয়।
তবে রাজ্যের সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি উঠেছে। সেই মতো পরিকল্পনাও চলছে। কোভিড বিধির কারণে এবার বুথের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়বে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী কীভাবে মোতায়েন হবে, তা রাজ্য পুলিস কর্তারা নির্বাচন কমিশনের অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করবেন। মন্ত্রকের নির্দেশে সিআরপিএফ, সিআইএসএফ, বিএসএফ, এসএসবি, আইটিবিপি রাজ্যে আসছে। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে যেমন নোডাল অফিসার হয়েছেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম, তেমনই বিএসএফ এবং সিআরপিএফের ক্ষেত্রে নোডাল অফিসার হচ্ছেন আইজিরা। কিন্তু এই সবই গতি পাবে নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর। সোমবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপেক্ষা তাঁর সফরের পরবর্তী সময়ের। কমিশন কিন্তু প্রস্তুত।