বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কোভিড পরিস্থিতিতে এবার সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডের যাত্রাপথ ছোট। সেনাবাহিনীর প্যারেড শেষ হবে ইন্ডিয়া গেটের পিছনে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। ট্যাবলো চলে যাবে লালকেল্লায়। বাংলাদেশ যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি পালনে মুজিবুর রহমানের নামে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা গানের সুরে রাজপথে প্যারেড করবেন ঢাকা থেকে আসা ১২২ জওয়ান। বাংলার ‘সবুজ সাথী’র ট্যাবলোর নেপথ্যে বাজবে রবীন্দ্রনাথের গান, ‘আমরা নূতন যৌবনেরই দূত’। উত্তরপ্রদেশ পেশ করবে প্রস্তাবিত রামমন্দির। প্রথমবারের মতো প্যারেডে অংশ নিচ্ছে লাদাখ। সংস্কৃতি মন্ত্রকের ট্যাবলোয় তুলে ধরা হচ্ছে নেতাজির অবদান, স্বাধীনতার ৭৫ বছর। ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি পেশ করবে করোনা রোধে ভারতীয় ভ্যাকসিন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের ট্যাবলো সাজবে ভোকাল ফর লোকালে।
অন্যদিকে, কিষান প্যারেডে অংশ নিতে হাজির হচ্ছে প্রায় ১ লক্ষ ট্রাক্টর। সেখানেও থাকবে রঙবেরঙের ট্যাবলো। তবে থিম একটাই—কৃষক ও কৃষি আইন। ট্রাক্টর সাজবে বিভিন্ন প্রদেশের বিশেষত্বে। প্রতিটি ট্রাক্টরের মাথায় উড়বে জাতীয় পতাকা, নীচে কৃষক সংগঠনের নিশান। বাজবে দেশাত্মবোধক গান। সিংঘু, তিক্রি, গাজিপুর, চিলা, মেওয়াট এবং শাহজাহানপুর—মোট ৬টি রুটে দিল্লির সীমানা ছেড়ে রাজধানীতে প্রবেশ করবে কৃষকদের ওই ট্রাক্টর মিছিল। একটার সঙ্গে মিলবে আর একটা। সব মিলিয়ে ১৯৩ কিলোমিটার পথ পেরবে।
তবে কোথাও থামা চলবে না। ট্রাক্টর চালিয়ে যেতে হবে নিরন্তর। অনুমোদন দেওয়ার অন্যতম শর্ত হিসেবে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি পুলিস। এই ইস্যুতে দিল্লির পুলিস কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তবের সঙ্গে সাতবার বৈঠক করেছেন কৃষক প্রতিনিধিরা। পুলিস বারবার অনুরোধ করেছে শান্তিপূর্ণ প্যারেডের। কৃষকরাও সেব্যাপারে কথা দিয়েছেন। তবুও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিস। ট্রাক্টর প্যারেড অবশ্য আরও একদিক থেকে মোদি সরকারের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় আর্কাইভের তথ্য বলছে, ১৯৫২ সালে সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো-প্যারেড হয়েছিল এমন ট্রাক্টরেই!