কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন শুধু এই একবার নয়, পুরশুড়ার সেকেন্দারপুরের মাঠ বারবার উত্তাল হয়েছে। কখনও জননেত্রীকে আহ্বান জানিয়েছে শঙ্খ-উলুধ্বনিতে, কখনও স্বতঃস্ফূর্ত হাততালিতে তৈরি হয়েছে গণগর্জন। রাজনৈতিক আহ্বানের বাইরে আমজনতার এই উচ্ছ্বাস ছিল নজরকাড়া। যার সূত্রপাত হয়েছিল সকাল ৯টা থেকেই। পতাকা, ব্যানারে সেজে একের পর এক গাড়ি আসছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। দলীয় প্রতীক আঁকা শাড়ি আর গেঞ্জিতে সুসজ্জিত তরুণ-তরুণীরা ভিড় জমাচ্ছিলেন। গ্রাম, গ্রামান্তর থেকে মেঠো পথ বেয়ে পিলপিল করে আসছিলেন সেকেন্দারপুরে। ধুলো উড়িয়ে একের পর এক মিছিল প্রবেশ করেছে সমাবেশস্থলে। উৎসাহীরা ডিজে নিয়েও হাজির হয়েছিলেন সভায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার যখন নামছে, তখন যেন গণহিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত গোটা মাঠ। বহুবার দেখা চেনা মানুষটিকে একবার কাছ থেকে দেখার উৎসাহ দেখে কে!
ততক্ষণে মাঠমুখী তিনটি রাস্তাতেই তুমুল যানজট। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক বোঝাই বেশ কিছু গাড়ি আটকে পড়েছিল সেখানে। দলীয় নেতাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিলে, গাড়িতে, ভ্যানে, বাইকে এমনকী সাইকেলে নেতৃত্ব দিয়ে মানুষকে মাঠমুখী করেছেন তাঁরা। তারকেশ্বর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুণ্ডুর দাবি, প্রায় ২০০টি গাড়ি করে মানুষ এসেছে। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের যুব সভাপতি গোপাল রায় ১৫০ ভ্যান, আর অসংখ্য বাইক নিয়ে এসেছেন। গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদারও দেড়শো গাড়ি দিয়েছিলেন। জনতার উন্মাদনা ছিল ফিরহাদ হাকিম, সুজাতা খাঁকে নিয়েও। সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা সুজাতার সঙ্গে সেলফি তুলতে বারবার ভিড় করেছেন কর্মীরা।
জননেত্রীও মঞ্চ থেকে শুনিয়েছেন বাংলার জনজীবনে হুগলির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা। তিনি এদিন বলেন, হুগলির জন্য গর্ব বোধ করে বাংলা। এই মাটিতেই আছে তারকেশ্বর মন্দির, আছে ফুরফুরা শরিফ। এখান থেকেই বাংলা পেয়েছে রাজা রামমোহন রায়, হাজি মহম্মদ মহসিন, উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রফুল্ল সেনকে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষ্ণুপুর থেকে তারকেশ্বর রেললাইন তিনি রেলমন্ত্রী থাকার সময় অনুমোদন করেছিলেন। গত পাঁচ বছরে জেলায় উন্নয়নের যে জোয়ার এসেছে, তারও খতিয়ান দিয়েছেন তিনি। ভিড়ঠাসা এদিনের সভাকে উৎসর্গ করেছেন দলের বুথকর্মীদের নামে। তারপরেই জননেত্রীর সেই আর্জি। গত দু’টি বিধানসভা নির্বাচনে যে আর্জিতে দু’হাত ভরে প্রত্যুত্তর দিয়েছিল হুগলির জনতা— জেলার ১৮টি আসনই আমাকে দিন। সঙ্গে সঙ্গেই বেজে উঠেছে শঙ্খ।