কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লালা ও এনামুলের ডায়েরি থেকে যে সমস্ত পুলিস অফিসারদের নাম মিলেছে, তাঁদের কাছে একে একে নোটিস পাঠাচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই কয়েকজন হাজির হয়েছেন। এদিন হাজির হওয়া আইসি-র কাছে এর আগেও নোটিস যায়। কিন্তু তিনি আসনি। দ্বিতীয় নোটিস যাওয়ার পর তিনি এদিন সিবিআই দপ্তরে চলে আসেন। পুরুলিয়ার কোন কোন জায়গা দিয়ে কয়লা পাচার হয়, তা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। ওই অফিসার জানান, পাচারের ঘটনা যখনই নজরে এসেছে, তখনই ব্যবস্থা নিয়েছেন। সিবিআইয়ের ব্যাখ্যা, ওই এলাকা দিয়ে যে অবৈধভাবে কয়লা পাচার হয়, তা এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে। এরপরই তাঁর সঙ্গে অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। ইন্সপেক্টরের দাবি, লালাকে তিনি চিনতেন না। তাহলে লালার খাতায় তাঁর নাম এল কী করে? সিবিআইয়ের এই প্রশ্নের উত্তরে ওই আইসি জানান, কেউ তাঁর নাম খাতায় লিখে রাখলেই তার অর্থ এই দাঁড়ায় না যে, তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন। তাঁকে বদনাম করতেও এই নাম লিখে রাখতে পারেন লালা। এরপর লালার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার বিভিন্ন নথি তুলে ধরেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। এবার কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান ওই পুলিস অফিসার। এনামুলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও একই প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। প্রতিটি প্রশ্নের জবাব তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি গোরু বা কয়লা পাচার কাণ্ডে কোনওভবেই জড়িত নন। তবে তাঁর বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁকে ফের ডাকা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, কয়লা ও গোরু পাচারের কালো টাকা বিদেশের কোন কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা রয়েছে, তাই নিয়ে এদিন
বিনয়ের ভাই বিকাশকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। এমনকী বিনয়ের বিদেশে কোথায় কোথায় সম্পত্তি রয়েছে, তাও জানতে চান তদন্তকারী অফিসাররা। বিকাশের দাবি, এই বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। আর তাঁর তিনি বা তাঁর দাদা কয়লা ও গোরু পাচারের ঘটনায় কোনওভাবেই জড়িত নন।